প্রকাশ: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১০ পিএম

নারায়ণগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরের পর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কিলঘুষি মারা হয়েছে। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতের এজলাস থেকে বের করার সময় তাকে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন কয়েকজন ব্যক্তি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে শুনানি শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের সময় হামলাকারীদের বাধা না দিয়ে আনিসুল হককে নিয়ে দৌড়াতে থাকে পুলিশ। কিছুক্ষণ দৌড়ে দ্রুত তাকে প্রিজনভ্যানে তুলে দেয়।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ সোলায়মান হত্যা মামলায় আনিসুল হকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতপাড়ায় আনিসুল হককে চড়-থাপ্পড় মারেন কয়েকজন ব্যক্তি ও আইনজীবী। এ সময় তার ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেন আইনজীবীরা।
নিহত মো. সোলায়মান (১৯) মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর এলাকার মিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। গত ৫ আগস্ট দুপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোলায়মান ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট সোলায়মানের ভগ্নিপতি শামীম কবির বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়।
এ মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করা হয়।