শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বাংলাদেশে এলো তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি, দাম কত?   হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা, মধ্যরাতে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স   নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মনিরুল ইসলাম   লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীরের সঙ্গে ইউএই রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ    পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন   কেরাণীগঞ্জে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া   খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন'র দোয়া মাহফিল    
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩৯ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে নিয়ে গিয়ে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ আয়োজনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এসময় তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব অনারার হাছে দুঁরি আইস্যেদে, অনারার এক্কানা সাহস অইবার লাই। আবার দুনিয়ার সামনে লড়াই গরিবু, যাতে অনারারে শান্তিপূর্ণভাবে অনারার দেশত পৌঁছাই দিত পারে। ইয়ান মস্ত বড় খুশির হতা। এই খুশির হতা আজিয়া আঁরা অনুভব গরির। আঁরা তাঁরে ভীষণভাবে ধন্যবাদ জানাই।’

অর্থ: জাতিসংঘ মহাসচিব আপনাদের কাছে এসেছেন, আপনাদের সাহস দেওয়ার জন্য। শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের দেশে পৌঁছে দিতে তিনি লড়াই করবেন। এটি মস্তবড় খুশির কথা। এই খুশির কথা আজ আমরা অনুভব করছি। আমরা তাকে ভীষণভাবে ধন্যবাদ জানাই।

চট্টগ্রামের ভাষায় ড. ইউনূস বলেন, ‘তাঁরে কি হনঅ দেশত আনিত ফারেন না, তার দেশত। বনজঙ্গলর ভিতর ঢুকাইত পারিব না? পাইত্তো নঅ। তাঁরা সরকারঅর বড় বড় হর্তা অলর লই হতা কঅই। এ জঙ্গলর ভিতর যনর হতা নঅ। তেই (আন্তোনিও গুতেরেস) হষ্ট গরি আইস্যে। নিজে রোজা রাইক্কে আজিয়া অনারারলাই।’

অর্থ: তাকে (জাতিসংঘ মহাসচিব) কি কোনো দেশ আনতে পেরেছে তাদের দেশে? বনজঙ্গলে ঢোকাতে পারবে? পারবে না। তারা সরকারের বড় বড় কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এই জঙ্গলের ভেতর যাওয়ার কথা নয়। তিনি কষ্ট করে এসেছেন। আজ আপনাদের জন্য নিজে রোজা রেখেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, তাঁরে (আন্তোনিও গুতেরেস) আঁরা বারেবারে যিয়ান বুঝাইতাম চাইর, তা অইল, ঈদ আইলে আঁরা বেয়াগ্গুন যাই দাদা–দাদির হবর জিয়ারত গরি। নানা–নানির হবর জিয়ারত গরি। আত্মীয়স্বজনর হবর জিয়ারত গরি। এই মানুষগুইন এডে আইয়েরে ঈদগান গরিবদে এই সুযোগ পাইত নঅ। ইতারার হবর জিয়ারত গরিবার হনঅ সুযোগ নাই। তাঁরে অনারা এক্কান দাওয়াত দঅন। দাওয়াত দিবেন যে কিল্লাই; সাম্মোর বছর ঈদর সমত যেন অনারার বাড়ির মইধ্যে তেঁই আইয়ে। ইয়ুর মইধ্যে এহত্র হঅন এবং দাদা–দাদির হবরঅর মইধ্যে যাইয়েনে তাঁরে সংবর্ধনা দঅন।

অর্থ: তাকে (আন্তোনিও গুতেরেস) আমরা বারবার যেটি বোঝাতে চাইছি, তা হলো, ঈদ এলে আমরা সবাই দাদা–দাদির কবর জিয়ারত করি। নানা–নানির কবর জিয়ারত করি। আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করি। এই মানুষগুলো (রোহিঙ্গা শরণার্থী) এখানে এসে সে সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের কবর জিয়ারত করার সুযোগ নেই। তাকে আপনারা দাওয়াত দিন। দাওয়াত দিবেন কেন? যেন তিনি সামনের বছর ঈদের সময়  আপনাদের বাড়িতে আসেন। আপনাদের বাড়িতে একত্র হন এবং দাদা–দাদির কবর জিয়ারত করে তাকে সংবর্ধনা দেন।

রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আঁরা এতুগ্গুন মানুষ আইস্যি। তাঁরে আঁরা বুঝাইর, অনারাও বুঝাইতেন লাইগ্গুন। কেউ আঁরারে আইয়েরে ভাত হাবাই যঅক, ইয়ান ত আঁরা ন চাই। আঁরারতো নিজর ক্ষমতা আছে। ধনসম্পদ আছে, জায়গা–সম্পত্তি আছে। আঁরাতো গরিত পারির। আঁরারে দেশত যাইত ন দে বলি, আঁরা মাইনষর বোঝা অই গেইগই। আঁরার পুয়া ছা বড় অইতো চার। দাদা–দাদির হবরঅর পাশে, নিজর ঘরর পাশে, আত্মীয়স্বজনর পাশে; ইয়ান আঁরা ন পারির। তাঁরে (আন্তোনিও গুতেরেস) আঁরা বুঝাইর।

অর্থ: আমরা এত মানুষ এসেছি। তাকে আমরা বুঝিয়েছি। আপনারাও বুঝাচ্ছেন যে, কেউ আমাদের এসে ভাত খাইয়ে যাক, তা আমরা চাই না। আমাদের নিজেদেরই ক্ষমতা আছে। ধনসম্পদ আছে। জায়গা–সম্পত্তি আছে। আমরাও করতে পারি। কিন্তু আমাদের দেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা এখন মানুষের বোঝা হয়ে গেছি। আমাদের ছেলেমেয়ে  দাদা–দাদির কবরের পাশে, নিজের ঘরের পাশে, আত্মীয়স্বজনের পাশে বড় হতে চায়; কিন্তু আমরা তা পারছি না। তাকে এসব বিষয় আমরা বোঝাব।

ড. ইউনূস বলেন, হবরগান বেগ্গুনঅরে দঅন যে, আঁরারে সুযোগ্গান দঅন, যাতে আঁরা নিজর বাড়িত ফিরি যাইত পারি। দুনিয়ার মানুষরে এই হতা বুঝঅম পরিবঅ। তেঁই (জাতিসংঘ মহাসচিব) এ দায়িত্ব নিজে লইয়ে। হাজার রহমর দায়িত্ব তাঁর। হডে যুদ্ধ অর, হডে কী অর; বেগ্গিনর দায়িত্ব তাঁর। এত কিছুর ভিতরে অনারার দায়িত্ব হত গুরুত্ব সহকারে তেঁই বিবেচনা গরের, ইয়ান বুঝিত পাইত্তে লাইগ্গুনত। হত গুরুত্ব দিয়ে তেঁই।

অর্থ: আপনারা ফিরে যেতে চান, এই খবরটা সবাইকে দিন। দুনিয়ার মানুষকে এই কথা বুঝতে হবে। তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) এই দায়িত্ব নিয়েছেন। হাজার রকমের দায়িত্ব তার। কোথায় যুদ্ধ হচ্ছে, কোথায় অন্য কিছু হচ্ছে; সব কিছুই তাকে দেখতে হয়। এতকিছুর ভেতরে আপনাদের দায়িত্ব তিনি গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করছেন। এটি আপনারাও বুঝতে পারছেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com