
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল (আ হ ম মুস্তফা কামাল), তার স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং তাদের কন্যা কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে সঙ্গতিবিহীন সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিকেলে প্রধান কার্যালয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আ হ ম মুস্তফা কামাল পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে সঙ্গতিবিহীন ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩১ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখে এবং তার নিজ ও ব্যবসায়িক ৩২ টি একাউন্ট এর মাধ্যমে ২৩৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৭ টাকা জমা ও ২১১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৪১ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ ছাড়া আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল (আ হ ম মুস্তফা কামাল) এর স্ত্রী কাশমিরি কামালের নামে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া তার নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে ওই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ২০ টি একাউন্টের মাধ্যমে ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ১৩৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এই টাকা তার স্বামী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল সংসদ সদস্য/মন্ত্রী থাকাকালীন ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জন করে তার উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। এই প্রেক্ষাপটে কাশমিরি কামাল এবং তার স্বামী আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল (আ হ ম মুস্তফা কামাল) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১), দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে লোটাস কামাল এর কন্যা কাশফি কামালের নামে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি নিজ ও ব্যবসায়িক ৩৮ টি একাউন্টের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এই টাকা তার পিতা আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল সংসদ সদস্য/মন্ত্রী থাকাকালীন ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জন করে তার উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। এই প্রেক্ষাপটে কাশফি কামাল এবং তার পিতা আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল (আ হ ম মুস্তফা কামাল) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১), দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ ছাড়া তাদের অপর কন্য নাফিসা কামালের নামে ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া তার নামে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ১৭ টি একাউন্টের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এই টাকা তার পিতা- জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল সংসদ সদস্য/মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জন করে তার উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। এই প্রেক্ষাপটে নাফিসা কামাল এবং তার পিতা আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল (আ হ ম মুস্তফা কামাল) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১), দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দন্ডবিধি'র ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।