প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:০৫ পিএম

ভারতের দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে হেরে গেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। নিজের আসনটিও ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
কিন্তু তার মানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজনীতিতে শেষ হয়ে গেলেন এমন ভাবার কারণ নেই। এখন নতুন করে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, রাজনীতিতে কীভাবে ফিরবেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাননি কেজরিওয়াল। তবে রাজ্যসভায় দিল্লি এবং পাঞ্জাব মিলিয়ে আম আদমি পার্টির ১০ জন সাংসদ আছেন। তার মধ্যে পাঞ্জাবের সাতজন সাংসদ। সেখান থেকে একজন সাংসদকে পদত্যাগ করিয়ে নিজে সেই জায়গাতে রাজ্যসভায় আসতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল ফিরে আসতে জানেন। তাই এই পদক্ষেপ নিতেই পারেন।
রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে দিল্লিতে আধিপত্য বিরাজ করতে পারেন তিনি। মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে ফেরাতে পারেন ভাবমূর্তি।
আম আদমি পার্টির হাতে পাঞ্জাব থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে সরিয়ে তিনি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। কারণ তাহলে দিল্লিতে আপের অস্তিত্ব সংকট তৈরি হবে।
বরং রাজ্যসভায় পৌঁছে সেখান থেকে নিজের দলকে আবার দিল্লির মসনদে বসাতে পারেন। রাজনীতিতে হার–জিত আছেই। এতদিন জিতেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এবার পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করে আবার দিল্লির মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারেন তিনি। এখন আম আদমি পার্টি দিল্লিতে প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু তিনি বিরোধী দলনেতা নন। হতেও চান না বলে সূত্রের খবর।
সুতরাং একমাত্র রাস্তা খোলা আছে রাজ্যসভার সদস্য হওয়া। দিল্লির মোট ১৪টি আসনে যে ভোট কাটাকাটি হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে সেটাই বিজেপির টার্নিং পয়েন্ট। কংগ্রেস যদি সমর্থন করত আপকে তাহলে বিজেপি আজ হাসতে পারত না।
ইন্ডিয়া জোটের শর্ত মানা হয়নি। যার জন্য কংগ্রেস এখন ভিলেন বাকিদের কাছে। এখন রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কেজরিওয়ালের কাছে একমাত্র বিকল্প রাজ্যসভা। আর সহজে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে পারবেন। আপাতত একটু ব্যাকফুটে যেতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।
কিন্তু রাজ্যসভা থেকে নিজেকে মানুষের দরবারে নিয়ে গিয়ে আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। সেক্ষেত্রেও পথ একটাই-রাজ্যসভার সাংসদ। সেক্ষেত্রে দিল্লি ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যে নিজের দলকে মেলে ধরতে পারবেন। ৭০ আসনের দিল্লিতে ৪৮টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। আর মাত্র ২২ আসনে পেয়েছে আপ।