শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: এন্ডোসকপির পর খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ, শাশুড়িকে দেখে মায়ের বাসায় জোবাইদা   আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ: জামায়াত আমির   খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন রাষ্ট্রপতির   খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স    বাংলাদেশে এলো তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি, দাম কত?   হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা, মধ্যরাতে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স   নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মনিরুল ইসলাম   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
নির্বাচন হবে, সুনিশ্চিতভাবে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৪ AM

নির্বাচন নিয়ে হরেক রকমের অঙ্ক, হিসেবে শুনিয়ে কোন কাজ হবে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, সামনে নির্বাচন হবে এবং সুনিশ্চিতভাবে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, এর বাইরে হরেক রকম অঙ্ক হবে, অঙ্কে অনেক রকম ঘষা-মাজা হবে, এদিক-সেদিক হবে। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন কাজ হবে না। আর যারা ইসলাম বুঝে, ইসলামের জন্য কাজ করবে তাদের সাথেই এদেশের আলেম সমাজ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একমাত্র অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী, মসজিদে গাউছুল আজম ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ১৯তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে ঈসালে সওয়াব ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। দোয়া পরিচালনা করেন কবি মাওলানা রুহুল আমিন খান।

এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, এদেশের মাদরাসা শিক্ষা, সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করা, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ সবকিছুই জিয়াউর রহমানের হাতে করা। সেটাই বাংলাদেশের ভিত্তি, মাদরাসা শিক্ষার ভিত্তি। ইতোমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। এদের প্রতি এতোদিন অন্যায় করা হয়েছে। বরকত উল্লাহ বুলু সাহেব এখানে আছেন, উনি সমস্যার কথাগুলো শুনেছেন, উনারা যখন ইনশাআল্লাহ সরকার গঠন করবেন তখন এবিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা, মাদরাসা শিক্ষকদের প্রধান্য দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ মাদরাসা শিক্ষকরা সর্বাবস্থায় বাংলাদেশেই থাকবে, ছেড়ে যায়নি এবং যাবে না। এরাই একমাত্র বাংলাদেশে ভিত্তি করে আছে
 
তিনি বলেন, বুধবার রাতে যে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে স্বৈরাচারি ভবন ভাঙা হলো, সুধাসদন, যত শেখ ভবন ভাঙা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার বড় করে নিউজ করেছে যে, ভাঙার সময় ‘নারায়ে তাকবির’, ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দেয়া হয়েছে। স্বৈরাচার, ইবলিশ এবং কাফেরদের দমন করতে হলে এই স্লোগানে যে জজবা আসে, তা অন্য কোন কিছুতে নেই।

জমিয়াত সভাপতি বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের সময় দীপু মনি যখন শিক্ষামন্ত্রী ও নওফেল উপমন্ত্রী হলেন তখন মাদরাসা শিক্ষাকে হিন্দুয়ানী সাংস্কৃতিতে রূপান্তর করা, এটাকে কিভাবে পৌত্তলিক চিন্তা-চেতনায় পরিপূর্ণ করে ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে ফেলা যায় সেই ভয়ানক একটা কার্যক্রম শুরু করেছিল। এজন্য তারা বইও ছাপিয়েছিল, সবকিছু করেছিল। ওই সময় অনেকে অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছন কিন্তু জমিয়াতুল মোদার্রেছীন একমাত্র মাঠে নামে। ৬৪ জেলায়, প্রক্যেক উপজেলায় মানববন্ধন করেছি। এটা করার কারণে আমাদের অনেক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, আমরা সংগঠন হিসেবে লাঞ্ছিত হয়েছি। সেসময় যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ নওফেলকে তার রামকৃষ্ণ মিশনের সার্টিফিকেট, হিন্দুদের পূজা-পার্বনের প্রসাদ খাওয়া জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন তারাই কিন্তু এখন আবার জামায়াতের নেতৃত্বে আছেন। এরা লেবাসধারী।

তিনি বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আর আলেম-ওলামারা। আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আমরা বলেছি আপনি ইসলামি রীতি অনুযায়ী মাদরাসা পরিচালনা করেন। জামায়াতের ইসলামীর আদর্শ অনুসরণ করে কাজ করবেন না। কিন্তু সেই কথা উনি শুনেননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো সিন্ডিকেট গঠন করেছেন জামায়াতের সদস্য বেছে বেছে নিয়ে। মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে জামায়াতের অনুসারীকে। ঠিক আছে উনাকে করছে ভালো, তাকেও বললাম একই কথা কিন্তু উনিও শুনলেন না। উনিও বোর্ডের সমস্ত সদস্য নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর।

ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, তারা (জামায়াত) ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। সরকারের ভেতরে কিছু উপদেষ্টা, সচিবসহ প্রশাসনে অনেক কিছু তাদের থাকতে পারে। তারা মনে করতেছে মাদরাসাগুলো যদি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে, শিক্ষকরা ভোটের সময় দায়িত্ব পালন করবেন ভোট কেন্দ্রে তাহলে ক্ষমতায় চলে আসবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও যেটা করতে পারেনি জামায়াত সেটাই করছে, শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দলীয়করণ করা হচ্ছে। একটা দলের লোকজন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তবে এই চেষ্টা অতীতেও সফল হয়নি, এখনও হবে না ইনশাআল্লাহ।

এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, এই দেশে ইসলাম এসেছে হাজার বছর আগে পীর, দরবেশ, সুফীদের মাধ্যমে। হাজার বছরের ইসলামের শাসন ছিল। কিন্তু তাদের (জামায়াত) কোন অবদান নেই। তারা (জামায়াত) ’৭১-কে অস্বীকার করে, পীর-দরবেশ-সুফীরা মিলে যে কাফেরদের এই দেশে ইসলাম এনেছে, প্রচার করেছে সেটাও তারা অস্বীকার করে। আর তারা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অবদান স্বীকার করবে এটার কোন কারণ নেই। এই বিষয়টা আপনারা দলীয়ভাবে (বিএনপি) দেখবেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। জামায়াতে ইসলামী তার দল করবে, কোন শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে কোন দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা সেটা তার রাজনৈতিক অধিকার, সেটা থাকবে। কিন্তু সরকারি পৃষ্টপোষকতায় সংগঠন করবে এবং তাদের রীতি অনুযায়ী কারিকুলাম-সিলেবাস হবে, সেটা হতে দেয়া হবে না। এই বিষয় নিয়ে বিএনপিকে এখনই আওয়াজ তুলতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে। এদেশের আলেম সমাজ জিয়াউর রহমানের সাথে যেভাবে ছিল, আগামীদিনে ইসলামের পক্ষে কাজ করলে সকলেই আপনাদের সাথে থাকবে।

এসময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা ওবায়েদুর রহমান খান নদভী, ড. মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম আজহারী, জমিয়াত কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যে- মাওলানা আ ন ম মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী (ঢাকা), এ কে এম মাহবুবুর রহমান (চাঁদপুর), মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক (ঢাকা), মাও. আ খ ম আবুবক্কর সিদ্দিক (ঢাকা), মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম (ভোলা), মুফতী মাওলানা এজহারুল হক (ঢাকা), মাওলানা আবু জাফর মো. সাদেক হাসান (ঢাকা), ড. মাওলানা ইদ্রিস খান (ময়মনসিংহ), ড. মাও. মো. আবুবকর সিদ্দিক (বরিশাল), মাওলানা মো. জহিরুল হক (গাজীপুর), আ ন ম বোরহান উদ্দিন (নারায়নগঞ্জ), মাওলানা মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ (নারায়নগঞ্জ), মো. আবু রায়হান ভূইঞা (নরসিংদী), মাওলানা মো. মাসুদ আলম (কিশোরগঞ্জ), মাও. মো. রাকিবুল হাসান (গাজীপুর), মাও. ফারুক আহমদ মোমতাজী (গাজীপুর), মাওলানা আবুরাফে মো. ফেরদাউস (মাদারীপুর), মাওলানা মো. মিজানুর রহমান (শরিয়তপুর), মাওলানা মীর মোশাররফ মোহাম্মদ মোস্তফা (নোয়াখালী), মাও. মো. জাহিদুল ইসলাম (টাঙ্গাইল), মাওলানা মিজানুর রহমান ফরিদী (ময়মনসিংহ), শাহ্ মো. সাইফুল্লাহ (বরিশাল), মাওলানা মাহবুবুর রহমান (ঝালকাঠী), মাওলানা রুহুল আমীন আফসারী (পিরোজপুর), মাওলানা বাহারুল ইসলাম (ঝিনাইদাহ), মাও. নূরুল আফছার ফারুকী (ফেনী), মাও. এম টি এম মোস্তফা হামিদী (চাঁদপুর), মাও. শাহাদত হোসাইন (কক্সবাজার) প্রমুখ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com