
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘প্রত্যেক দলেই তিন ধরনের লোক থাকে। এক ধরনের লোক হলো দলের আদর্শ-নীতিকে লালন করে, আরেকটি হলো ক্ষমতার জন্য, অপরটি হলো সুবিধাভোগী। আওয়ামী লীগেও ছিল।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে এই সুবিধাভোগীরা ঘেরাও করে ব্যাংক লুট করেছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছে, দেশে দুর্নীতিসহ যত রকমের চাঁদাবাজি আছে করেছে। তাদের কারণেই আজকে আওয়ামী লীগের এই অবস্থা হয়েছে।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়, তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব দেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল-জুলুমসহ অনেক অত্যাচার করেছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটের জন্য, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন। শুধু তা-ই নয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে, দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেসব অপকর্ম, অন্যায়, অনাচার করেছে এই ধরনের কর্মকাণ্ড যেন বিএনপির কোনো নেতাকর্মী না করে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। আর যদি করে তাহলে জনগণ বলবে, আওয়ামী লীগ যা করেছে তার জন্য তাদেরকে বিদায় করেছি, আর আপনারা (বিএনপি) ক্ষমতায় যাওয়ার আগে এ ধরনের কাজ করছেন, তো ক্ষমতায় গেলে আপনারা কী জানি করবেন।’ তাই নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কিন্তু এখনো ক্ষমতায় যাইনি। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমে, জনগণের মতামতের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই। তাই সে পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ যেসব অপকর্ম করেছে, সারা দেশেই আমাদের কেউ কেউ ক্ষমতায় চলে এসেছি মনে করে অপকর্ম করার চেষ্টা করছে বলে আমাদের কানে আসছে। তাদের উদ্দেশে বলছি, এত ত্যাগ স্বীকার করে গত ১৫ বছর ধৈর্য ধরেছেন এখন যদি জনগণের মতকে ধরে রাখতে না পারেন তাহলে তো জনগণ দায়ী হবে না, আমরা দায়ী হবো।’
দাউদকান্দি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসেম, দাউদকান্দি উপজেলা বিনেপির আহবায়ক আবদুল লতিফ ভূইয়া ও সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।