বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৫ ফাল্গুন ১৪৩১

শিরোনাম: খুলনায় মুখোমুখি অবস্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি   শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য : প্রেসসচিব   রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আহত   ষোলো বছরে ব্যানার ধরার ৬ জনও ছিল না: কুয়েটে সংঘর্ষের পর ছাত্রদলকে হাসনাত   কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৫০   উত্তরায় দম্পতিকে প্রকাশ্যে কোপানো দুজন রিমান্ডে   শেয়ারবাজারের ৭শ কোটি টাকা লুট করে লাপাত্তা হাসান তাহের ইমাম   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
গত বছরের তুলনায় মশা বেড়েছে ১২ গুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০২ AM

শীতের শেষ পর্যায়ে মশার উপদ্রব বাড়ছে। গবেষণা বলছে গত বছরের তুলনায় এবার মশা বেড়েছে ১২ গুণ। তবে রাজধানীরবাসীর অভিযোগ, মশা নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।

মাঝেমধ্যে মশক নিধনের ওষুধ ছিটালেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।  
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীতে পার ম্যান পার আওয়ার উড়ন্ত মশার ঘনত্ব তিন শর বেশি। অর্থাৎ একজন মানুষ যদি কোথাও টানা এক ঘণ্টা অবস্থান করে, তাহলে তাকে গড়ে তিন শ মশা আক্রমণ করছে, যা গত বছরে ছিল গড়ে ২৫-এর নিচে। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় মশা বেড়েছে ১২ গুণ।

রাজধানীতে মশার লার্ভার ঘনত্ব প্রতি ডিপে (ঘনত্বের পরিমাপ) ৮৭-এরও বেশি। অথচ গত বছরে এই সময়ে রাজধানীতে মশার লার্ভার ঘনত্ব প্রতি ডিপে ছিল গড়ে ১২ থেকে ১৭টি। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ঘনত্বটি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আরো বাড়বে। ফলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা চরমে পৌঁছতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশন বলছে, মশার উৎপাত কমাতে নিয়মিত ক্রাশ প্রগ্রাম, লার্ভিসাইড বা কীটনাশক প্রয়োগ, কীটনাশকের গুণাগুণ যাচাই, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কমিটি গঠন, নিয়মিত সভা করাসহ সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কিন্তু এতেও কাজ হচ্ছে না।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুধু কীটনাশক ছিটিয়ে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমরা নিয়মিত ক্রাশ প্রগ্রাম, লার্ভিসাইড বা কীটনাশক প্রয়োগ করছি। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না।

কারণ এ শহরে ড্রেন, ডোবা, নর্দমা, বিল, ঝিল ও খালে পানির প্রবাহ নেই। এসব স্থানে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এতে পানির ঘনত্ব বেড়ে মশা প্রজননের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে অনেক ধরনের কমিটি হয়েছে। কারিগরি কমিটি, স্পেশাল টাস্কফোর্স কমিটি, ওয়ার্কিং কমিটি, ওয়ার্ড লেভেল কমিটি, এখন আবার নতুন কীটনাশকের গুণাগুণ যাচাইয়ের জন্য কমিটি। এসব কমিটিতে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। কারণ আমাদের শহর একটি অপরিচ্ছন্ন শহর। ড্রেন, ডোবা, নর্দমা, বিল, ঝিল ও খালে ময়লার স্তূপ, যা পরিষ্কার করে পানির প্রবাহ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com