
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রেতাত্মারা এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, মনে রাখতে হবে বিএনপি কিন্তু এখনো রাষ্টীয় ক্ষমতায় আসেনি।
আমাদের প্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে হবে অত্যান্ত কঠিন। সেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যেদিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। শহীদ রাষ্টপ্রতির জীবনাদর্শের উপর আলোচনা করতে গিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েমের মধ্যেদিয়ে শেখ মুজিব দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণের পাশাপাশি লুটপাটের মধৌেিদয় ৭৪’র দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
নেতৃবৃন্দ শেখ মুজিবের ভারতের সাথে ২৫বছরের গোলামী চুক্তির ফলে ফারাক্কার বিরুপ প্রভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। আর আগে এক ক্লান্তিকালে পেক্ষাপটে অনিবার্য এক পরিস্থিতির মাধ্যমে সেদিন দেশপ্রেমিক মেজর জিয়াউর রহমান চট্রগ্রামের কালরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মহাস স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন।
যা এদেশের মানুষসহ সারা পৃথিবীর মানুষ শুনেছিল। জিয়াউর রহমান সফল রাষ্টনায়ক ছিলেন উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, দেশকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা করতে শহীদ রাষ্টপ্রতি জিয়াউর রহমান ৩১দফা কর্মসুচির মাধ্যমে খাল খনন করে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। খাল খনন কর্মসুচি বাস্তবায়নে দেশ সেদিন খাদ্যে স্বয়ংসুম্পর্ণতা অর্জন করে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারী) বিকাল ৩টায় পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনাসভায় উপরোক্ত কথা গুলো বলেন নেতৃবৃন্দ। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে থানা বিএনপি আলোচনা সভার আয়োজন করলেও পৌরসভাসহ ১১ইউনিয়নের সর্বস্তরের নতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে লোকেলোকারন্ন হয়ে যায়।
আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত থাকায় উপস্থিত কর্মীরা উজ্জিবিত হতে দেখাগেছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, উপজেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদুন্নবী মুরাদ ও কাজী আব্দুস সাত্তার, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সরদার শহিদুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক আশফাকুজ্জামান খান রনি, সাবেক প্রচার সম্পাদক গোলাম কাদের বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুল মোমিন সুজন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোনাজ্জেল হোসেন লিটন, সদস্য সচিব নাজমুল হক নাজু, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আরাফাত কল্লোল, পৌর যুবদলের আহবায়ক আরাফাত হোসেন কোমল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মইনুল ইসলাম জনি, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আশরাফুল আলম রানা, সদস্য সচিব শাহিন আলম বিপ্লব প্রমুখ।
আলোচনা সভায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল, মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।