প্রকাশ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩০ AM

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের মুখে পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানোর জন্য বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে।
সানডে টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে টিউলিপ সিদ্দিকের ক্ষমা চাওয়া উচিত। দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে যেসব দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলোর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে সরকার। যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোও এই প্রক্রিয়ায় পাশে থাকবে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ৫ বিলিয়ন ডলারের অপব্যবহার নিয়ে চলমান তদন্ত বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এই ধরনের অর্থনৈতিক অনিয়ম দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন এবং রাশিয়ার সহায়তায় নির্মাণাধীন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ঘুষ নিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সরকার তার বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করে। এ ছাড়া বিরোধী দলগুলোও তার পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টিউলিপ সিদ্দিক বহুমুখী চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।