জাতির পিতা অভিনিবেশ সহকারে সারা জীবন কাজ করে গেছেন: ড. কলিমউল্লাহ
বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৬৯ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক চৌধুরী।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন মিসেস হাসিনা বেগম।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা নাঈমা ফেরদৌস ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর আব্দুলাহ আল মাহমুদ।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা অভিনিবেশ সহকারে সারা জীবন কাজ করে গেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আমরা এখানে স্তরে স্তরে নানাভাবে আলোচনা করি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার দিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমাদেরকে ১৯৪৭ থেকে নানা স্তরের কাজের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে নিয়ে গিয়েছেন তার নেতৃত্বে। ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দিয়ে গিয়েছিলেন ।
তিনি আরো আলোচনা করেন ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রকে নিরাপদ রাখতে বলেছিলেন এবং ওখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছিলেন। তখন বেলাল আহমেদ এর দায়িত্বে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পাঠানো হয়। সেখানে বিলাল আহমেদ নিরাপত্তার জন্য মেজর রফিকের কাছে নিরাপত্তার প্রত্যাশা করেন এবং মেজর রফিক ,জিয়াউর রহমানকে নিরাপত্তার জন্য রেফার করেন। বেলাল আহমেদ জিয়াউর রহমানের থেকে মাইনর পদে ছিলেন বলে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন পরবর্তীতে সংশোধিত করে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণার দেন ।
মেজর রফিকের রচিত বইয়ে বলা হয়েছে জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জিয়াউর রহমান জীবিত থাকাকালীন সময়ে এই বইটি প্রকাশিত হয় এবং জিয়াউর রহমান এর বিরোধিতা কখনোই করেননি।
বেলাল আহমেদ তার বই ' স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র' প্রকাশ করেন এবং এখানেও স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে সঠিক তথ্য দেন যা জিয়াউর রহমান অস্বীকার করেননি।
সেমিনারের গেস্ট অব অনার প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা বলেন ,আবুল ফজল হক তার বইয়ের ৪৬ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন - বঙ্গবন্ধু দুঃখ করে বলেছিলেন, " কি করি? কোথাও ভালো লোক পাচ্ছি না। তাকে যেখানে বসায় সেই চুরি করে। অবস্থা পূর্ণ ঘরের শিক্ষিত ছেলেদের বেছে বেছে নানা কলকারখানার প্রশাসক বানালাম। দুইদিন যেতে না যেতেই তারাও চুরি করতে শুরু করল। যাকে পাই তাকে বলি আমি কিছু স্বপ্ন খুঁজে বেড়াচ্ছি।"
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিসেস হাসিনা বেগম বলেন , প্রান্তিক পর্যায়ে যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আছেন তাদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার ব্যবস্থা হলে তারা সম্মানের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হবে।
তিনি আরো বলেন , বাংলাদেশ নারীদের একটাই দল হোক। শেখ রাসেল হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠবে বাংলাদেশ।
বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা নাঈমা ফেরদৌস বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৩৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হলে তার একটি চোখ কলকাতায় অপারেশন করা হয় এই কারণে তার লেখাপড়ার সাময়িক বিরতি ঘটে। চার বছরের বিরতির পর ১৯৩৭ সালে শেখ মুজিব পুনরায় স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৮সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুননেছার সাথে আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। তারা দুই কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের জনক-জননী।
আর এক নারী উদ্যোগক্তা পারভিন আক্তার বলেন , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবার জন্য অনেক কিছু করে গেছেন। তার কন্যা মাননীয় শেখ হাসিনা নারী উদ্যোক্তাদের অনেক সাপোর্ট করে যাচ্ছেন যা অনেক প্রশংসার। আমরা নারীরা আমাদের কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং দেশকে গর্বিত করব।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক কুমার সরকার।