প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১:০৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
কোনো রকম ঘুষ ও তদবির ছাড়া শুধুমাত্র মেধা এবং শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ। নিয়োগবিধি অনুযায়ী ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৪১ জন কনস্টেবল। এবারের কনস্টেবল নিয়োগে মেধা ও শারীরিক দিক থেকে অধিক যোগ্য প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো রকম তদবির ও ঘুষ ছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়াটি শেষে করেছে জেলা পুলিশ।
জানা গেছে, পুলিশের কনস্টেবল পদে কোনো ঘুষ, সুপারিশ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪১ নিয়োগপ্রত্যাশী চাকরি পেয়েছেন। ১৭ মার্চ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচিতদের নাম ঘোষণার সময় জেলা পুলিশ লাইন মাঠে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দিনমজুর, কৃষকের সন্তানরাই বেশির ভাগ চাকরি পেয়েছেন। মাত্র ১২০ টাকা ফি দিয়ে পুলিশে চাকরি হবে এটি সাধারণ পরিবারের তরুণ-তরুণী এবং তাদের পিতা-মাতার জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। চাকরি পেয়ে অনেকের চোখ ভিজে আনন্দ অশ্রুতে। সন্তানের চাকরি পাওয়ার খুশিতে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তাদের পিতা-মাতাও। পুলিশে চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাদের সবাই। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে দেশের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান বলেন, আমরা খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। কাউকে কোনো অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো রাজনৈতিক সুপারিশ বা চাপ ছিল না। মেধাবী এবং শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন তরুণ-তরুণীরা নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। আশা করি, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা পুলিশ বিভাগ ও দেশের সম্মান বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে থেকে আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে দালাল ও প্রতারক চক্রকে দমন করার চেষ্টা করেছি এবং সক্ষম হয়েছি। প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ প্রভাবিত করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এবারের ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৪১টি পদের বিপরীতে দেড় হাজারের অধিক তরুণ-তরুণী অনলাইনে আবেদন করেছিল। কিন্তু বয়স, ফলাফল ও সঠিকভাবে আবেদন না করায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক আবেদন বাতিল হয়ে যায়। ৯৯২ আবেদনকারী শারীরিক মাপ ও শারীরিক কসরতের সুযোগ পান। এর মধ্যে ৪৪৩ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন মাত্র ১৩৪ জন। এদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৪১ জনকে চূড়ান্তভাবে ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।