আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন হেফাজতের কারাবন্দী নেতা মামুনুল হক। ওই কমিটি বিলুপ্তির পর নতুন কমিটিতে তাকেসহ কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে তারা আবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বহাল হবেন।
শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় কাউন্সিলের মাধ্যমে হেফাজতের যে কমিটি গঠিত হয়েছিল তা পরবর্তীতে (২৫ এপ্রিল, ২০২১) বিলুপ্ত করা হয়।
হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক শাহ্ মুহাম্মদ ইয়াহইয়ার মৃত্যুর পর তাঁর পদ শূন্য হওয়ায় হাটহাজারী মাদরাসার বর্তমান মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী এবং আতাউল্লাহ হাফেজ্জীকে সিনিয়র নায়েবে আমিরের পদে মনোনীত করার সিদ্ধান্তও হয় সভায়।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির ছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী। তিনি ২০২০ সালে মারা যাওয়ার পর নানা আলোচনার মধ্যে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর সম্মেলনে জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির করে হেফাজতের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছিল।
২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে হেফাজত বিক্ষোভ ও হরতাল ডাকে। এসময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়। সংঘাতের অর্ধশত মামলার পর মামুনুলসহ হেফাজতের ডজন খানেক কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের অনেকেই এখনো কারাবন্দী।
সংঘাতময় পরিস্থিতিতে পুলিশের অভিযানে চাপের মধ্যে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল রাতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সংগঠনটির তৎকালীন আমির জুনাইদ বাবুনগরী।
এর দুই মাসের মাথায় ৭ জুন ঢাকার খিলগাঁওয়ের মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে হেফাজতের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী।
সেদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিহাদী বলেন, আগের কমিটির যারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের নাম এই ৩৩ সদস্যের ঘোষিত কমিটিতে নেই।
“ছোট পরিসরে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি পরবর্তীতে চিন্তা-ভাবনা করে দেখবে আর কে কে এই কমিটিতে যুক্ত হবেন। যারা কারাগারে আছেন তারা এখানে অন্তর্ভুক্ত হবেন কিনা, তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,” বলেছিলেন তিনি।