প্রকাশ: রোববার, ২৮ মে, ২০২৩, ১০:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

শিমুল তাওহীদ ও জসিম। এরা ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আতঙ্ক। পেশায় এরা ছিনতাইকারী। শুধু ঢাকা আরিচা মহাসড়কেই নয় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এরা ছিনতাই করে আয় করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
অবশেষে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে ধরা পড়েছে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে।
এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের ১১ লক্ষ টাকা এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার।
আজ ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান রিপন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
গত ৭ মে সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ইসলামী ব্যাংকের মার্কেটিং ম্যানেজার মো: হাবিবুর রহমান এবং সিকিউরিটি নাঈম ইসলাম একটি কালো রঙের স্কুল ব্যাগে করে ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ঢাকা আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে। এ সময় কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার এসে লুটে নেয় টাকার ব্যাগ। এরপর মিলিয়ে যায় প্রাইভেট কারটি। গত ৮ মে হেমায়েতপুর ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার মালিক মো: ফয়েজুল হক এ ঘটনায় বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করে ফেলে অপরাধীদের। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৩ ছিনতাইকারীকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মাগুড়ার রাঘব দাইড় গ্রামের জয়নুদ্দিনের ছেলে মো: শিমুল (৩৬), বরিশালের গৌড়নদী থানার বাটাজোড় গ্রামের মৃত কাদের বেপারীর ছেলে মো: তাওহীদ ইসলাম এবং পটুয়াখালীর দশমিনা থানার ঠাকুর বাজার গ্রামের কালু হাওলাদারের ছেলে মো: জসিম উদ্দিন।
এদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ১১ লক্ষ টাকা ও একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকা এরা নিজেদের প্রয়োজনে খরচ করে ফেলেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের মার্কেটিং ম্যানেজার মো: হাবিবুর রহমান জানান, ওই দিন সকাল ১১ টার দিকে ইসলামী ব্যাংক হেমায়েতপুর এজেন্ট শাখার ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার ডিপোজিটের টাকা নিয়ে গাড়ির জন্য মহাসড়কে অপেক্ষা করছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই একটি সাদা প্রাইভেটকারে করে ছিনতাইকারীরা এসে টান দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে যায়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, মহাসড়ক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকার কারণে অপরাধীদের সনাক্ত করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ছিনতাই রহস্যের উম্মোচন করতে পেরেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপরাধীদের। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অপরাধী চক্র সক্রিয় থাকতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।