বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখন ৫০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপানো হয়েছে। সব ব্যাংক খালি। রিজার্ভ খালি। টাকা নেই, রিজার্ভ নেই। অথচ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই টাকা দিয়ে দেশে দেশে ঘরবাড়ি করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত এই সমাবেশ আয়োজন করে।
সমাবেশে আমীর খসরু বলেন, আজ রিজার্ভ খালি। ডলার নেই বলেই দেশের মানুষের জন্য পণ্য আমদানি করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বী। যারা জনগণের অর্থ চুরি, ব্যাংক লুটপাট, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। তাদের তো পকেটভর্তি টাকা। পণ্যের দাম যতই বাড়ুক, তাদের সমস্যা হবে না। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তারা। তারা বেহেশতে আছে। তাদের আগামীর বেহেশতের দরকার নেই। আগামীর বেহেশতে যাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। যারা নির্যাতিত হচ্ছে, কারাবরণ করছে, অত্যাচারে মারা গেছে তারাই বেহেশতে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, যে দলের নেতা-কর্মীরা ভোট চুরি, ব্যাংক লুট, টেন্ডার, জায়গা দখলে ব্যস্ত তাদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ত নেই। তারা ভিন্ন প্রক্রিয়ার নতুন রাজনীতি তৈরি করেছে। এ রাজনীতি আওয়ামী মডেলের লুটপাটের অর্থনীতি রাজনীতি। রাজনৈতিকভাবে তারা আজ সম্পূর্ণভাবে পরাজিত। তাদের সমর্থনকারী কোনো মানুষ আজ নেই।
চট্টগ্রামের একটি কর্মসূচি ঘিরে চারটি মামলা হয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শত শত নেতা-কর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিএনপির সিদ্ধান্ত হচ্ছে সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। বিএনপি সে রাস্তায় চলছে।