প্রকাশ: রোববার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এই শতাব্দীর দুর্দান্ত ও শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনস্মার্ট ষড়যন্ত্র স্মার্টলি রুখে দিব আমরা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরেও যেসকল ষড়যন্ত্র এই বাঙলার মাটিতে হয়েছে, সেগুলো যেভাবে আমরা রুখে দিয়েছিলাম, ঠিক একইভাবে এই শতাব্দীর সকল ষড়যন্ত্র আমরা স্মার্টলি রুখে দিব।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৫৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সুমনা আক্তার লিলি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
উৎপল দাস, আমি আজকের ভোরের পাতা সংলাপে উপস্থিত অতিথির সাথে একমত হয়ে বলতে চাই যে, আমরা আসলেই সকল আনস্মার্ট ষড়যন্ত্র স্মার্টলি রুখে দিব কারণ আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের বাসিন্দা। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার যে নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ২০২১ সালের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। গতবছর ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ পর্ব শেষে আবারও নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের লক্ষ্যের নাম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ও চীন ছাড়া আর কোন দেশে শতবর্ষকে কেন্দ্র করে কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেয়নি। গত শতাব্দীর আমাদের সবচে বড় অর্জন ছিল আমাদের এই দেশটাকে স্বাধীন করা এবং সেটা আমরা অর্জন করেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ লড়ায় সংগ্রাম ও নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সেই সময়কার ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো রাতের আধারে ক্ষমতা দখল করার দুঃস্বপ্ন দেখে। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশের একজন স্মার্ট নাগরিক হিসেবে আমি বলতেই পারি যে, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের প্রতিটা ধাপে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে সেটা দেখে আজ বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। এটাই আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যার অর্জন। আমরা তার হাতকে আরও বেশী শক্তিশালী করবো এবং সুদৃঢ়ভাবে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আছি তারা লড়ায় সংগ্রাম চালিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিব।