প্রকাশ: সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আশুলিয়া ইয়ারপুর ইউপি উপ-নির্বাচনে বিদ্রেুাহী প্রার্থী নৌকার পক্ষের নেতা কর্মিকে মোবাইলে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যপারে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেছেন ভুক্তভুগি।
থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মাদবর কে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া জামগড়া এলাকার অনেক ভোটার অভিযোগ দিয়ে বলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ- নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সুমন আহমেদ ভুঁইয়া ঐ এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।অনেকে ভয়ে এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেনা,তারা আতঙ্কের মধ্যে আছে বলে জানান।বিগত দিনে ঐ প্রার্থীকে নিয়ে বির্তক থাকায় সে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পায়নি বলে তারা মনে করেন।
এঘটনা নিয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মাদবর কে মোবাইল ফোনে প্রকাশ্যে হুমকির একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতি মধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।জানা যায় আশুলিয়া থানা ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক মনোনীত ব্যাক্তি মোল্লা মোশাররফ হোসেন মূসার পক্ষে নির্বাচনি কার্জক্রম করায়, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সুমন আহমেদ ভুঁইয়া গত ০৩/১২/২২ ইং ভোর ৪ টার সময় মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ প্রকাশ্যে দিবালকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেন আরিফ মাদবরকে। যা তুমুল বিতর্কের ঝড় তুলেছে সাভার আশুলিয়া ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী আরিফ মাদবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, আমি জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার দল করি, আমার বাবা দাদারাও আওয়ামী লীগ করে গেছেন তাই আমি সত্যিকারে একজন আওয়ামী লীগ কর্মী ও মুজিবের সৈনিক হিসেবে দলের নেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই আমাকে কাজ করতে হবে। সেটা হোক মোল্লা মোশাররফ হোসেন মূসা কিংবা সুমন আহমেদ ভুঁইয়া। অথবা কবির হোসেন সরকার বা অন্য কেউ।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমি আজ নৌকার পক্ষে কাজ করাই আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী সুমন আহমেদ ভুঁইয়া।তবে একজন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী আর একজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে কি ভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিতে পারে সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তাই আমি উর্ধতন নেতাকর্মীদের জানিয়ে আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।
ঘটনার সত্যতা জানতে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুমন আহমেদ ভুঁইয়াকে মোবাইল ফোনে কল করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ইয়ারপুর ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদের মৃত্যুর পর এই ইউপিতে উপ-নির্বাচন আগামী ২৯ ডিসেম্বর এখানে মোট ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে।