#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ: ড. শ্রী বীরেন শিকদার। #শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: ড. ওয়ালি-উর রহমান। #আর কখনো পথ হারাবে না বাংলাদেশ: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী।

আমরা নৈতিকভাবে স্লোগান দিতে গিয়ে বল যতদিন শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত। আর এই সব কিছুই আজ সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। যারা এই পথের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন তাদের আদর্শ, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯০০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এর-তেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ড. শ্রী বীরেন শিকদার, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, আজকে ভোরের পাতা লাইভ সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। আজকে ভোরের পাতা যে আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আমরা রাজনৈতিকভাবে স্লোগান দিতে গিয়ে বল যতদিন শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। এটার যথার্থতা নিয়ে আমি কিছুর কথার অবতারণা করবো আজকে। বাংলাদেশের পথ কিন্তু অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত। সুতরাং এই পথ থেকে বিচ্যুতি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট পথ আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে এবং সেই পথেই দেশকে পরিচালনা করছেন আমাদের জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ দুরন্ত, দুর্বার গতিতে। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, সুদৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলী তাকে করেছে অদ্বিতীয়। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল, তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। স্বপ্নদর্শী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখেই প্রশান্তি পান না, তার বাস্তবায়নের মধ্যে তৃপ্তি পান। তিনি বিএনপি-জামায়াতের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক কায়দায় মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়া একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত। আর এই সব কিছুই আজ সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
ড. ওয়ালি-উর রহমান বলেন, আমার পূর্ববর্তী বক্তা ড. শ্রী বীরেন শিকদার আজকের ভোরের পাতা সংলাপের বিষয়বস্তু নিয়ে যেসব কথা বলেছেন তার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। বাংলাদেশ যে পথ হারাবে না এটা আমরা কখনোই ভাবি না, এখনো ভাবি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪বছর ধরে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতির সোপানে চলে গিয়েছে, সেই পথ ধরে আমরা এগুচ্ছি এবং আমাদের এই ধারা চলমান আছে। গত কয়েক বছরে করোনা এবং সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের মধ্যেও আমাদের যে আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে এটা কিন্তু অসামান্য। কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তখন তারা দূর্বৃত্তায়ন করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছিলো কিন্তু ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী ফিরে এসে দলের সভাপতি হওয়ার পরে সে শূন্যতা পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার যে ম্যাজিক তিনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন তা এখন উন্নত বিশ্বে ‘শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেলে’ রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ এখন অর্জন করেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সূচকের প্রবৃদ্ধির ফলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার সবগুলো শাসনকাল চিহ্নিত হয় স্বর্ণযুগ হিসেবে।
অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, হাজার বছরের বাঙ্গালীর ইতিহাসের পথের দিশা দিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই পথ কিন্তু সহজ ও সুগম ছিলনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নৃশংসভাবে আমাদের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর আমরা পথ হারাতে বসেছিলাম। এবং যারা এদেশের শত্রু দেশী ও আন্তর্জাতিকভাবে তারা দীর্ঘ ২১ বছর এদেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ২১ বছর আরও একটি অন্ধকার যুগে ছিল। যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল সে বাংলাদেশের মাথা নিচু হয়ে গিয়েছিল এই ২১ বছরে সামরিক শাসনামলে। ২১ বছর পর যখন আওয়ামী লীগ ফের দেশের শাসন ব্যবস্থায় আসীন হলেন তখন থেকে আবার বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করলো। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পথ অতিক্রম করে আমাদের জন্য আগামীর পথ রেখে গিয়েছেন, যে পথে তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ব বন্ধু হয়েছেন সেই পথে অত্যন্ত সফলভাবে লক্ষ্য করে তার স্বীয়গুণে সে পথ মেনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্রমাগত নিজেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের নেতৃত্ব থেকে বিশ্ব নেতৃত্বে, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক থেকে ক্রমাগত তিনি বিশ্ব নেত্রীতে রূপান্তরিত হচ্ছেন। সুতরাং আজকের ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে সামনের জাতীয় নির্বাচনে দেশ পথ হারাবার সম্ভাবনা সৃষ্টিকারীদের প্রত্যাখ্যান করছি এবং যারা এই পথের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন তাদের আদর্শ, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।