প্রকাশ: সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৩৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের আগে ও পরে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট দেবেন না।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ মাঠে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনার বাড়ি তো ঠাকুরগাঁওয়ে। সমাবেশ কাকে বলে তা আজকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও সমাবেশে দেখে যান। আপনারা কথায় কথায় বলেন, আপনাদের সমাবেশে ঢল নেমেছে, তরঙ্গ নেমেছে। কিন্তু ঢল কাকে বলে, নদী আর সাগরের তরঙ্গ কাকে বলে তা আজকে দিনাজপুরে এসে আপনি দেখে যান। আপনারা সমাবেশের তিন দিন আগে থেকে হাড়ি-পাতিল, বিছানা-বালিশ নিয়ে নাটক শুরু করেন। সেই নাটকের অংশ থাকে মশার কয়েল।
তিনি বলেন, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে ভয় পায়। কারণ ওই ময়দানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেছিল। তাই তাদের কষ্ট লাগে। আপনারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেন, কেউ কোনো দেবে না।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে খেলা হবে। এবার খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাজার হাজার কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো নির্বাচন আর হবে না। সুষ্ঠু ভোট হবে। শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময় রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। সে সময় একটা নিরপেক্ষ ভোট হবে।
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি এবং প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, সাবেক মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, মো. শিবলী সাদিক এমপি, অ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই এমপি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুতফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।