মিয়ানমারের অবস্থা এখন টালমাটাল: মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৪০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদিতার সাথে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যে সংঘর্ষ সেটা কিন্তু অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। তাদের এই সংঘর্ষ আমাদের সীমান্ত ঘেঁসে চলছে এবং তারই ফলশ্রুতিতে তাদের সংঘর্ষের কিছু উত্তাপ বাংলাদেশেও দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়'; এই নীতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৪২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদিতার সাথে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যে সংঘর্ষ সেটা কিন্তু অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। তাদের এই সংঘর্ষ আমাদের সীমান্ত ঘেঁসে চলছে এবং তারই ফলশ্রুতিতে তাদের সংঘর্ষের কিছু উত্তাপ বাংলাদেশেও দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ ঘেঁষা সেই অঞ্চলে যেখানে তাদের সংঘে সংঘাত চলছে সেখানে আমরা ধারণা করছি মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এবং হারিয়েছে বলেই তারা তাদের সংঘর্ষের জায়গা আরও ভিতরে চলে আসছে। যার জন্য এখন সীমান্ত কিছুটা শান্ত। মিয়ানমারের সরকারের বাহিনী, সেখানে বিচ্ছিন্নবাদিতার উত্থান সহ সব কিছু মিলিয়ে মিয়ানমার আভ্যন্তরীণভাবে অত্যন্ত টালমাটাল অবস্থায় আছে। মিয়ানমারের কখনোই উদ্দেশ্য ছিলোনা যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন সামরিক অভিযান পরিচালনা করার। সেটি তাদের যে যুদ্ধ কৌশল, তাদের লজিস্টিক কৌশল দেখে আমরা নিশ্চিত ছিলাম। তারাই স্বীকার করেছে যে তাদের এই ধরণের কোন উদ্দেশ্য নেই। বাংলাদেশ বিধি মোতাবেক আন্তর্জাতিক আইন দেখিয়ে তাদেরকে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং তারা তাদের এই ধরণের কাজের জন্য ব্যাখ্যা দিয়েছে যা আমাদের কাছে কোন গ্রহণযোগ্যতা পাইনি। বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের মূল যে সংঘাতের জায়গাটা হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এখন আমাদেরকে দেখতে হবে যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এরমধ্যে সম্ভব কিনা, এবং যদি এটা সম্ভব হয় তাহলে আমাদের দেখতে হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঘিরেই আমাদের কূটনীতির পরবর্তী পদক্ষেপ থাকতে হবে।