শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক পন্থায় এর সমাধান খুঁজতে হবে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সম্প্রতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নানারকম আচরণ করছে মিয়ানমার যা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর কিন্তু ভীতিকর নয়। বাঙলার দামাল ছেলেরা, বাঙলার সেনাবাহিনী প্রত্যেকটা পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে। থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। সেখানেও কিন্তু অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যে তাদের সাথে কোনভাবেই যুদ্ধে জড়াবে না, এটা বার বার বলা হচ্ছে তাদেরকে। বাংলাদেশ এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিবদমান সংঘর্ষ বাড়ায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী আগ্রাসী অভিযান চালাচ্ছে এবং এর রেশ এবং উত্তেজনা বাংলাদেশ সীমান্তে। বার বার প্রতিবাদ করার পরও মিয়ানমারের সীমান্ত আইন লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বিগ্ন আমরা। সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়াকে ঘোলাটে করার নীলনকশা শুরু করেছে জান্তা সরকার। মিয়ানমারভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের নতুন বিরোধকে কাজে লাগিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার সেল নিক্ষেপ ও তাদের বিমান আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তাতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সতর্ক করার ৭ দিনের মাথায় আবারও যেভাবে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়েছে এবং সেনা হেলিকপ্টারের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। ইতোমধ্যে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকেও সরকারের উদ্বেগের বিষয়টি ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জানানো হয়েছে। সীমানা ঘেঁষে এ গোলাগুলিতে সীমান্ত সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে ১৫-২০ দিন। একই সঙ্গে সীমান্তে বিভিন্ন বাগান ও খেত-খামারের কাজও বন্ধ। ফলে শত শত মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। তাই আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাচ্ছি।