প্রকাশ: রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অনেকটা উন্নত বিশ্বের আদলে একের পর এক নির্মিত হচ্ছে উড়ালসেতু। যা পাল্টে দিচ্ছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র। নির্মাণের প্রথম পর্যায়ে যানজট নিরসনসহ নানা সুবিধা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা থাকলেও এসব ফ্লাইওভার চালুর পর সুফল মিলছে নগরবাসীর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আবারও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নির্মিত হতে যাচ্ছে আরেকটি ফ্লাইওভার। মেরিন ড্রাইভের বিকল্প হিসেবে শাহ-আমানত সেতু থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটি করবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যা চাপ কমাবে শহরমুখী যানবাহনের।
জানা গেছে, আগের ফ্লাইওভারের সুবিধা কাজে লাগিয়ে এবার শাহ আমানত সেতুর পশ্চিম অংশ থেকে কর্ণফুলী পাড়ঘেঁষে ফিরিঙ্গিবাজার হয়ে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে আরেকটি ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারটি বারিক বিল্ডিং মোড়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওঠানামার জন্য হবে একটি র্যাম্প। মাঝখানে আরেকটি র্যাম্প হবে সদরঘাটে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে শহরমুখী মানুষের চাপ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মেরিন ড্রাইভের বিকল্প হিসেবে এ উড়ালসড়কটি করার পরিকল্পনা করছে সিডিএ। সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেই দ্রুত ডিপিপি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, যেটি থাকায় বন্দরের জায়গাগুলো আমরা পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। তাই ফ্লাইওভার করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ফলে ফ্লাইওভারটি হয়ে গেলে দক্ষিণ পশ্চিমা ল থেকে শাহ আমানত সেতু হয়ে যে ভারী গাড়িগুলো ফিরিঙ্গি বাজার, নিউমার্কেট হয়ে শহরের মধ্যে ঢুকছে তা আর ঢুকবে না। এগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে তখন বন্দরে ঢুকতে পারবে।
তবে তড়িঘড়ি না করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন এগুলে ফ্লাইওভারের যথার্থ সুফল পাবে চট্টগ্রামবাসী। এমন পরামর্শ নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরানের। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া না করে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা হোক। পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হোক এবং সুষ্ঠু একটা পরিকল্পনার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হোক।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর মাস্টারপ্ল্যানে শহরের চারদিকে মেরিন ড্রাইভ হওয়ার কথা। কিন্তু বন্দরের জেটিসহ সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনার বাঁধার কারণে এ অংশে করা যাচ্ছিল না। এবার বন্দরের সম্মতিতে স্থাপনার ওপরেই হচ্ছে উড়ালসড়ক। তবে বিশ্ব মন্দার এ সময়ে ব্যয়বহুল ফ্লাইওভার না করে সড়ক করার পরামর্শ প্রথম মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ণ কমিটির সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের।
তিনি বলেন, এটা খুবই প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমনকি এটা ১৯৯৫ সালের মাস্টারপ্ল্যানেও ছিল। আগামী মাস্টারপ্ল্যানেও এটা থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে এটি উচ্চ ব্যায়ের ফ্লাইওভার না করে যদি সমতল দিয়ে টানা যায় তা হবে সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থাপনা।