বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৯    সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সঙ্গীতশিল্পীসহ নিহত ২    ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭    নিরাপত্তা ইস্যুতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না : ইসি    প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির কারণে দুবাই ও শারজাহতে ঢাকা থেকে ৯টি ফ্লাইট বাতিল    শহরের চাপ কমাতে প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো জরুরি    দ্বীপ উন্নয়ন ও কৃষি জমি সুরক্ষায় আইন করতে সংসদকে হাইকোর্টের পরামর্শ   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ছেন শেখ হাসিনা
#বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন শেখ হাসিনা: কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন। #শেখ হাসিনার জন্য বাঙালি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

এই মাসের ২৮ তারিখে ১৯৪৭ সালে  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যান। তার অবিচল সংগ্রাম ও নেতৃত্বের দরুন আজ বাংলাদেশ মহাকাশ জয় করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন   বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

অধ্যাপক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন বলেন, এই মাসের ২৮ তারিখে ১৯৪৭ সালে  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজকে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আমরা একদিকে ভাগ্যবান যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তের দিনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে সময় দেশের বাহিরে ছিলেন বলে সেদিনের সেই নৃশংস হামলা থেকে বেঁচে যান। তার বোন শেখ রেহেনা সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন বিধায় তিনিও সেদিন বেঁচে যান। তারা বেছে আছেন বলেই আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই স্বপ্ন তিনি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘাতক হামলার কারণে। কিন্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মৃত্যু হয়নি। জাতির পিতার স্বপ্ন অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি দেশকে একটি নব্য পাকিস্তানে পরিণত করেছিল। বাঙালি জাতির সৌভাগ্যের বিষয় যে, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা চড়াই-উৎরাই, জেল-জুলুম সহ্য করে সরকারের দায়িত্বে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দ্বিতীয় বিপ্লব সুখী-সমৃদ্ধ, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।  শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে তিনি ‘স্টার অব দ্যা ইস্ট’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিতেও ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে, যা সারাবিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও বাণিজ্য ও সমুদ্রসম্পদ নিয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শেখ হাসিনা। বাঙালি তথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।

অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবৎকালের বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল সরকার প্রধান। তাঁর নেতৃত্বে আমরা সমুদ্র জয় করেছি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে, সকল বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আমাদের নিজের খরচে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে এখন যানজট নিয়ন্ত্রণে। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ আজ নবপরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনা মহামারিসহ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাওয়ার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। আর এই এগিয়ে যাওয়ার গল্পের প্রধান কারিগরই হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজ পরিবারের সকল সদস্যকে হারানোর পর তার আর হারানোর কিছুই নেই। সে কারণেই হয়ত নিজের জীবনের পরোয়া না করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার আগেই সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের হাল ধরে মাঠে-প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র নেতা শেখ হাসিনা যার দেশের ৬৪ জেলার সকল উপজেলায় যাওয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায় থেকে নতুন করে পুনর্জীবন দান করেন এই কার্যক্রমের মাধ্যমে। বাবার মতই সাধারণ মানুষের খুব কাছে থাকতেন তিনি। আর সে কারণেই তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অগণিতবার। বিশেষত দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী চেতনার ধারক ও বাহকদের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যান। তার অবিচল সংগ্রাম ও নেতৃত্বের দরুন আজ বাংলাদেশ মহাকাশ জয় করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]