প্রকাশ: সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০২২, ৬:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরতের সকালে সূর্য ওঠার আগেই বির্স্তীণ আড়িয়াল বিল থেকে কুড়িয়ে আনা হচ্ছে অসংখ্য শাপলা। কুড়ানো শাপলায় ভর্তি করা হচ্ছে নৌকা। জীবন ও জীবিকার তাগিদে জীবনযুদ্ধে বিকল্প উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বর্ষা মৌসুমে শতশত কর্মজীবি মানুষ শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। এসব শাপলা কুড়িয়ে একেকজন দৈনিক প্রায় হাজার টাকা আয় করতে পাড়ছেন। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মৎস্য ও শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বিখ্যাত আড়িয়াল বিলে বর্ষা মৌসুমে অসংখ্য মানুষ মাছ শিকার ও শাপলা কুড়িয়ে সংসারের আয় করছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, কুয়াসাচ্ছন্ন শরতের সকালে বিলে সাঁদা পাপড়ির বিছানা মেলে অসংখ্য শাপলার সমারহ। দেখে মনে হবে বিলের পানিতে এসব শাপলা যেন সাঁতার কাটছে। আড়িয়াল বিল এলাকার গাদিঘাট, হাঁসাড়া, আলমপুর, লস্করপুর, শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালীসহ বিভিন্ন স্থানে বিল থেকে ডিঙ্গি নৌকায় করে শাপলা কুড়াচ্ছেন। কুড়ানো শাপলা আনা হচ্ছে বিভিন্ন সড়কের পাশে। পাইকাররা এসব শাপলার আটি গুনে গুনে শাপলার পিকআপভ্যান বোঝাই করে নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সবজির বাজারে।
গাদিঘাট এলাকার সুমন খান, মো. মোশারফ, নুর হোসেনসহ অনেকে বলেন, শাপলা কুড়িয়ে টাকা রুজির পাশাপাশি বেকার সময় পার করছেন তারা। তারা জানান, সৃষ্টি কর্তা নিয়ামত হিসেবে আড়িয়াল বিলে শাপলাসহ মৎস্য ও শস্যের ভান্ডার। হাঁসাড়া ও বাড়ৈখালী এলাকার আলমপুরের আমির হোসেন, শাজাহান, দেলোয়ার হোসেন, বলাই রামসহ অনেকেই জানান, বছরের এই সময়ে এলাকায় তেমন কৃষি কাজ থাকে না। তাই বিলের শাপলা বিক্রির মাধ্যমে অনেক পরিবারের সংসার চলে।
শাপলার পাইকার সেলিম শেখ বলেন, সিরাজদিখান থেকে এখানে পিকআপভ্যান নিয়ে গাদিঘাটে এসেছি শাপলা সংগ্রহ করতে। প্রায় ১ হাজার আটি শাপলা সংগ্রহ করছেন তিনি। আলামপুর এলাকার জমাইতুল্লাহ ও চাঁন মিয়া জানায়, তারা প্রতিদিন বিকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে শাপলা কিনতে আসেন। শাপলা নিয়ে রাজধানীর কাওরান বাজার, সাভার, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন সবজির পাইকারী বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যান।