প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২, ৭:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার বেতাগীতে বসতঘরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুন থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাচাঁতে আগুনে দগ্ধ হয়ে জীবন গেল বর্তমান ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ শামিম (৩৩)‘র। পরিবারে চলছে আহাজারি ও এলাকায় বিরাজ করছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) দুপুর বারোটা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। লাশ রাতে গ্রামের বড়িতে পৌছার পর আগামীকাল শুক্রবার (১২ আগষ্ট) সকাল ১০ টায় দাফন করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হত্যা চেষ্টায় টিনসেট বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ২০১৯ সালেও উপজেলা সরিষামুড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য খান ফারুক আহমেদ শামীম খানের মায়ার হাঁট বাজার সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একইভাবে আগুন দেয়া হয়।
ঘটনার পর পরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় দগ্ধ শামিম খানকে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। আর দগ্ধ স্ত্রী সুচি আক্তার (২৫), শিশু পুত্র মাইনুল খান (৫) ও সামিউল খান (২) কে বরিশালে একই হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যান ইউপি সদস্য। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রাতে উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের মায়ার হাঁটে পৌছার পর নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
একই গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক হাবীবুর রহমান জানান, ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ শামিম অত্যন্ত অমায়িক ও এলাকার সকলের আপনজন ছিলেন। সে সহজেই মানুষের আপন হতে পারতো। স্থানীয় সকল মানুষের মন জয় করায় এবারে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তার মৃত’্যতে এলাকার যে অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তা ভুলবার নয়।