প্রকাশ: সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২, ৬:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হচ্ছে। সোমবার (৮ আগস্ট) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে প্রথম দফায় ৫৩ জন কর্মী দেশটিতে যাবেন। চলতি মাসে আরও কয়েক দফায় কর্মী যাবেন দেশটিতে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ থেকে শুরু হচ্ছে কর্মী যাওয়া। শুরুতে ৫৩ জন কর্মী যাবেন। এমওইউ’র পর এটাই প্রথম ফ্লাইট। লাইনে আছে অনেকগুলো। প্রায় পাঁচ হাজারের মতো প্রসেসের মধ্যে আছে। এ মাসে আরও কয়েকটা ফ্লাইট যাবে। আগামী মাস থেকে পুরোদমে যাওয়া শুরু হবে। প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার কর্মী যাবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জিমাত জায়া কোম্পানির এই কর্মীদের প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে গত এপ্রিল মাসে। একই দিনে জিমাত জায়া কোম্পানিতে ১১০ জন এবং রেইনবো পেপার সাপ্লাই কোম্পানিতে ১৫ জনসহ মোট ১২৫ জনের অনুমোদন দেওয়া হয় ক্যাথারসিজ ইন্টারন্যাশনালকে। এ দলের মাধ্যমেই এবারের মতো খুলে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর লেবার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খাতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০০ কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছে। আমরা দ্রুত যাচাই-বাছাই করে কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন দিচ্ছি। এসব কর্মী দ্রুতই বাংলাদেশ থেকে আসবেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার তিন বছর পর গত বছরের ডিসেম্বরে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে গত মাসে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের। এজেন্সির সংখ্যা নিয়ে দীর্ঘ সময় পার করে দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়ার হাইকমিশন। মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের পরিবর্তে কখনো মেডিকেল সেন্টারের অনুমোদন, কখনো ডাটা ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগে বাধ্যবাধকতা, কখনো র্যান্ডম স্যাম্পলিং, কখনোবা মালয়েশিয়ার কাছে মন্ত্রণালয়ের নতুন সিস্টেম সমন্বয় করার প্রস্তাব করা হয়। ফলে দীর্ঘসূত্রতা দিন দিন বাড়ছিল। এতে নেপাল থেকে কর্মী নেওয়ার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা। কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে আজকের ফ্লাইটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনবল পাঠানোর দরজা এবার খুলেছে।
জনশক্তি রপ্তানিকারকরা বলছেন, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৬ লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। তাদের যে চাহিদা তাতে এবার মালয়েশিয়ায় আরও প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী যেতে পারবেন।