ফরিদপুর মধুখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক সরাফি সেতু গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের পাশাপাশি নিজেও মাদক ব্যবসা করেন সেতু এমন অভিযোগও রয়েছে।
শনিবার মধুখালী পাথরের ইয়ার্ডে চাঁদাবাজি করতে গেলে কাউন্সিলর তৌফিক সরাফি সেতুকে গণধোলাই দেয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
ইতিমধ্যেই একজন বিধবা অসহায় নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার কল রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে। ওই নারীকে মাদক ব্যবসায়ী বানানোর হুমকি এবং গালিগালাজের ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের রেকর্ডটি ভোরের পাতার হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন এই তরুণ কাউন্সিলর সেতু।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৫ নং ওয়ার্ডে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে কাউন্সিলরকে চাঁদা দিতেই হয়, কেউ না দিলে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মধুখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরতৌফিক সরাফি সেতু বলেন, 'শনিবার পাথর ইয়ার্ডে আমার ওপর সেখানকার ডাকাত পরিবারের সদস্যরা হামলা করেছিল, যাদের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুর পাথর চুরির মামলাও রয়েছে। এছাড়া যে মহিলাকে গালিগালাজ করা হয়েছে, তিনি মাদক ব্যবসায়ী নন। ওই মহিলার বাসা আমার ওয়ার্ডেই। তার স্বামীর কাছে একজন ৪০ লাখ টাকা পায়, এ কারণে ফোন করেছিলাম। সেখানে উত্তেজিত হয়ে কিছু গালি দিয়েছি। তবে এলাকায় কোনো চাঁদাবাজির সাথে আমি জড়িত নই। এমনকি যে ভয়েস রেকর্ডটি ফাঁস হয়েছে, সোটিও তারা এডিট করেছে। '