প্রকাশ: শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২, ৮:১১ পিএম আপডেট: ২৩.০৭.২০২২ ৮:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ইংরেজি দৈনিক দ্য পিপলস টাইম পত্রিকার ফরিদপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক কে এম রুবেল (৪৫) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছে।
কে এম রুবেলের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্য ডেইলি পিপলস্ টাইম সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান মরহুমের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
সাংবাদিক রুবেলের ছেলে কাজী লামীম ইসলাম জানান, রাতে খাবার খান তার বাবা। এরপর রাত ১০টার দিকে তিনি বুকে ও হাতে-পায়ে ব্যথা অনুভব করলে মায়ের সাথে পরামর্শ করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন। এরপর বাসা থেকে নিজেই হেঁটে বের হয়ে বায়তুল আমান বাজার পর্যন্ত এসে অ্যাম্বুলেন্সে উঠে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে যান। সেখানে কিছুক্ষণ পর মারা যান রুবেল।
সাংবাদিক রুবেলের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর সহকর্মী ও পরিচিতদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। শহরের বায়তুল আমান মহল্লার মরহুম কাজী সিরাজুল ইসলামের সন্তান ছিলেন কে এম রুবেল। তার পুরো নাম কাজী মোহাম্মদ রুবেল। দীর্ঘ তিন দশক ধরে তিনি ফরিদপুর জেলা সদর থেকে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। ইংরেজি দৈনিক পিপলস টাইমের পাশাপাশি দৈনিক সংবাদ ও বৈশাখী টেলিভিশনের ফরিদপুর প্রতিনিধি ধিলেন রুবেল। এর আগে তিনি বাংলাবাজার পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। একজন বিনয়ী ও সদা হাস্যোজ্জ¦ল সহকর্মী হিসেবে কে এম রুবেল সহকর্মীদের কাছে খুবই প্রিয়মুখ ছিলেন। তার বড় ছেলে কাজী তামিম ইসলাম ফরিদপুর কৃষি ইন্সটিটিউটে কৃষি ডিপ্লোমার ৫ম বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে কাজী লামীম ইসলাম ফরিদপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের নিউ টেনের ছাত্র। তার মা হাসিনা বেগম (৮০) শারীরিকভাবে অসুস্থ।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তার লাশ ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আনা হয়। এখানে সর্বস্তরের মানুষ তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। বাদ জোহর বায়তুল আমান ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে বিলমামুদপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।