শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫    মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির    মৎস খাতে বাংলাদেশকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান     আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হলেন আম্পায়ার সৈকত    জেনে নিন আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস    শুক্রবার নাগাদ আসতে পারে ভারতের পেঁয়াজ    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
পদ্মার বুকে বাঙালির আরেক বিজয়: মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ২৬ জুন, ২০২২, ১২:২১ এএম আপডেট: ২৬.০৬.২০২২ ১২:৩১ এএম | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর সেখান থেকে চলে এলেন সেখানে সকল মানুষ কিন্তু পদ্মা সেতুর উপরে উঠে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠে। এক অভাবনীয় দৃশ্য সেটি। এই দৃশ্য কিন্তু অনেকেই দেখেননি আগে কিন্তু আমি দেখেছি এবং সেটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির আবহমান সংগ্রামের প্রতীক। যুগে যুগে বাঙালি ধ্বংসস্তূপে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে। এটাই আমাদের প্রাণশক্তি।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৪৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার,  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলী মানিক, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, আসলে আজকে আমার গায়ের লোম দাড়িয়ে যাচ্ছে কারণ আজ আমি এতো আনন্দিত যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমার বহুদিনের পদ্মার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি যাবো। আজ এতো বছর পরে এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এবং আমি প্রত্যাশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই আমি গাড়ি চালিয়ে এই পদ্মার উপর দিয়ে নিজ জন্মস্থানে যাওয়ার সুযোগ হবে। আজ সাড়া দেশের মানুষ বাধ ভাঙ্গা আনন্দ, উচ্ছ্বাসে মেতে আছে। আজ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর সেখান থেকে চলে এলেন সেখানে সকল মানুষ কিন্তু পদ্মা সেতুর উপরে উঠে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠে। এক অভাবনীয় দৃশ্য সেটি। এই দৃশ্য কিন্তু অনেকেই দেখেননি আগে কিন্তু আমি দেখেছি এবং সেটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। সেদিন যেমন নয় মাসের অত্যাচার, অনাচার, এতো মানুষের গণহত্যা, অবিচার, অন্যায় থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ সেদিন যেমন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল ঠিক একইভাবে আজকেও এই রকম একটি অভাবনীয় দৃশ্য আমরা দেখতে পেয়েছি সেই পদ্মার পারে। আনন্দ উল্লাস সেদিন যেমন সাড়া বাঙলার মানুষ যেমন বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছিল ঠিক সেই রকম বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে সাড়া বাঙলার মানুষ। পদ্মা সেতু নিয়ে যে রাজনীতি হয়েছে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। এই সেতু রাজধানীর সাথে সরাসরি যোগাযোগের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, কাঁচামাল সরবরাহ এবং শিল্পায়ন সহজতর হবে। ২১টি জেলায় গড়ে উঠবে ছোট-বড় শিল্প। কৃষির ব্যাপক উন্নতি হবে। কৃষকরা পণ্যের দাম ভালো পাবেন এবং উৎপাদন বাড়বে। বলা হচ্ছে দক্ষিণের জেলাসমূহের বার্ষিক জিডিপি ২ দশমিক ০ শতাংশ এবং দেশের সামগ্রিক জিডিপি ১ দশমিক ০ শতাংশের বেশি বাড়াতে সাহায্য করবে পদ্মা সেতু।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]