জানা গেছে, চালকসহ মাইক্রোবাসে মোট ছয় জন ছিলেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। বাকি চার জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে সকাল সাড়ে ৯টায় চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন, কাশেম (৫০), তার নাতি ফারজানা (১২) ও মাইক্রোবাস চালক বিল্লাল (৪৫)। আহত হয়েছেন- কুয়েত ফেরত প্রবাসী লাভলু (৪০), রেখা (২৫) ও ফাহিমা (৭)।
নিহত কাশেমের ভাই কাউসার বলেন, আমার ভাতিজা লাভলু কুয়েত থেকে আজ ভোরে বাংলাদেশে আসে। বিমানবন্দর থেকে তাকে নিয়ে দোহার ফেরার পথে নবাবগঞ্জ প্যারাগন হাসপাতাল এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই আমার বড় ভাই কাশেম ও ফারজানা মারা যায়।
খবর পেয়ে বাকিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে আসলে চিকিৎসক চালক বিল্লালকেও মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে লাভলু, রেখা ও শিশু ফাহিমা চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ফাহিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, নবাবগঞ্জ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় চার জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে বিল্লাল নামে একজন মারা গেছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। ফাহিমা নামে এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।