#পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক: ড. শাহিনূর রহমান। #শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান ও বাস্তবায়ন করেন: সৈয়দ আহমেদ সেলিম।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২, ১০:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়, দৃঢ় মনোবল ও আস্থার প্রতীক। ২৫ জুন নতুন সম্ভাবনা, নতুন দিগন্ত নিয়ে যাত্রা করছে পদ্মা সেতু। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই এক বিস্ময়। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার মতো সততা, আত্মবিশ্বাস এবং বলিষ্ঠতার মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন করে পশ্চিমাদের গালে চপেটাঘাত করেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৩৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ সেলিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আমি প্রথমেই ভোরের পাতাকে ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি এইজন্য তারা ধারাবাহিকভাবে আজ পর্যন্ত ৭৩৭তম পর্ব নানা বিষয় নিয়ে করে যাচ্ছে। এই জন্য আমি ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসানসহ ভোরের পাতার সকল কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের আলোচ্য বিষয় পদ্মা সেতুর স্বপ্নপূরণ। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সাহস-গৌরব ও সততার প্রতীক। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়, দৃঢ় মনোবল ও আস্থার প্রতীক। ২৫ জুন নতুন সম্ভাবনা, নতুন দিগন্ত নিয়ে যাত্রা করছে পদ্মা সেতু। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই এক বিস্ময়। প্রবল স্রোতের এই পদ্মায় সেতুটি তৈরি করতে আধুনিক মানের সব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। পাঁচটি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছে এই সেতু। সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে এটির নির্মাণে। খরস্রোতা পদ্মায় পানিপ্রবাহ বিবেচনায় বিশ্বে আমাজন (ব্রাজিল) নদীর পরেই এর অবস্থান। পদ্মা সেতু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক নতুন জাগরণ নিয়ে আসবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এ সেতুটি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঘটবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। মানুষের যাতায়াত থেকে শুরু করে পণ্য পরিবহনে সময় বাঁচবে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে নিশ্চিত করেই। বাড়বে বিনিয়োগ। দক্ষিণাঞ্চলে নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্পের প্রসার হবে। জিডিপিতেও বড় অবদান রাখবে পদ্মা সেতু। এই সেতু আসলেই দেশের মানুষের স্বপ্নের সেতু হয়ে উঠেছে।
সৈয়দ আহমেদ সেলিম বলেন, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার মতো সততা, আত্মবিশ্বাস এবং বলিষ্ঠতার মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন করে পশ্চিমাদের গালে চপেটাঘাত করেছে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন সাড়া বিশ্বকে বাঙালি কি করতে না পারে। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির মনের কথা জানেন বলেই সেই আত্মবিশ্বাস এবং উদ্দীপনা নিয়ে এই মহাকর্ম হাতে নিয়েছেন এবং প্রমান করেছেন বাঙ্গালিও জাতি দিবা স্বপ্ন দেখে না, বাঙালি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেও জানেন। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের একটি প্রকল্প। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। বছরের পর বছর বিচার ও কষ্টের পর এই সুন্দর স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান ও উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে দ্রুত। বাড়বে জীবনযাত্রার মান ও কর্মসংস্থান। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য জেলার অধিবাসীদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধক ছিল যমুনা নদী। এ নদীর ওপর যখন বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মিত হলো, পাল্টে যায় অর্থনীতির গতিপথ। পদ্মা সেতু কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, শিক্ষা, বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রেই এই সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে। দক্ষিণাঞ্চলের কুয়াকাটা ও সুন্দরবনসংলগ্ন ছোট ছোট বিভিন্ন দ্বীপ পর্যটন উপযোগী করা যাবে। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, সুন্দরবন ও পায়রা বন্দর ঘিরে দেখা দেবে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের উন্নয়ন, অহংকার, অহংকারের প্রতীক। আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয়, যোগ্যতা সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রত্যয়ের ফসল।