মুসা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ও ঘটনার কিছুদিন পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যান।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর এখন ওমান থেকে তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে বলে পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেন, ওমান পুলিশ ও আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে মুসা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া ছিল। প্রথমে ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে ওমান পুলিশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়। তারাও আমাদের নিশ্চিত করেছে। এখন তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে৷
মহিউল ইসলাম বলেন, মুসাকে ফিরিয়ে আনতে ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশের একটি দল পাঠানোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। যথাসম্ভব আমাদেরই স্কটের দায়িত্ব নিতে হবে। এটা প্রক্রিয়াধীন বিষয়। খুব শিগগিরই তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।