সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি খাদ্য আমদানি ভর্তুকি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে দেশটির খাদ্যবাজারে অস্তিরতা বাড়ে। সে সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও ইউক্রেন সংঘাতও বড় কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভর্তুকি বাতিলের ফলে রান্নার তেল, মুরগির মাংস, ডিম ও দুধের মতো দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম ইরানে নাটকীয়ভাবে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে ইরান সরকার স্বল্প আয়ের নাগরিকদের মাসিক ভাতা প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। তবে দেশজুড়ে খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় লোকজন হিমশিম খাচ্ছে। খাবারের দোকানগুলোতে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
এর ফলে ইরানের দোরুদ, ফারসান, জুনঘান, বোরুজেরদ, চোলিচেহ, দেহদাশত ও আরদেবিলসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিক্ষোভে সংঘাতে রূপ নেয়। কয়েকটি দোকানে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ইরানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত দেশটির অর্থনীতিও বর্তমানে বেশ নড়বড়ে।