এ নিয়ে গতকাল রোববার নতুন কমিটি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে৷ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদপত্রে দেখা যায় তার নাম শিরিনা আক্তার আর জেবুন্নেসা হলের ছাত্রীর কলেজের পরিচয়পত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায় তার নাম শিরিন৷ তবে এ শিক্ষার্থীর দাবি তাকে শিরিন বা শিরিনা আক্তার নামে সবাই চেনে৷
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের শিরিনা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, পদটা আমার৷ উনার নাম শিরিন তমা৷ আমার সার্টিফিকেটে নাম শিরিনা আক্তার ৷ জয় ভাই এসে বিষয়টা ক্লিয়ার করে দিয়েছেন৷ সেন্ট্রালের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি ছিলেন। উনারা সবাইকে বলে দিয়েছেন পদটা আমার৷
জেবুন্নেসা হলের শিরিন জাগো নিউজকে বলেন, ওই নামটা আমারই৷ আমি দীর্ঘ সাত বছর ধরে রাজনীতি করি৷ আমার ডাকনাম তমা৷ কিন্তু সার্টিফিকেটে নাম শিরিন৷ এ নামটাই বিজ্ঞপ্তিতে এসেছে৷ আমি পদ পাওয়ার পরদিনই জয় ভাইয়ের (ছাত্রলীগের সভাপতি) কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছি।
এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, ধানমন্ডিতে আমি যখন ফুল দিতে গেলাম ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা আপু (তামান্না জেসমিন রিভা) আর তার কর্মীরা আমাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে বের করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আমাকে ফুল দিতে দেয়নি৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা বলেন, ওকে (জেবুন্নেসা হলের শিরিন) ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমি কখনো দেখিনি৷ সে মানসিকভাবে অসুস্থ৷ বঙ্গমাতা হলের শিরিন আক্তারই সহ-সভাপতি পোস্ট পেয়েছেন। এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই৷ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট আল নাহিয়ান খান জয় ভাই এটা ক্লিয়ার করে দিয়েছেন৷
ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধর ও হাতাহাতির বিষয়ে রিভা বলেন, ওই প্রোগ্রামে আমি এরকম কিছু দেখিনি৷ কোনো সমস্যাও মনে হয়নি৷
বিষয়টি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট হতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।