তিনি বলেন, সামনের দিকে কিছুটা সংকট রয়েছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে অনেকে প্রচার করছে সে অবস্থা হতে পারে। সেরকম কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি।
টিপু মুন্সী বলেন, তেল, চিনি ও ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দাম বেড়ে গেছে। দরিদ্র মানুষের কাছে কম মূল্যে পণ্য পৌঁছে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
‘পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত টিসিবি এক কোটি পরিবারকে কম মূল্যে পণ্য দেবে। যা আগামী মাস থেকে শুরু হবে।'
তিনি বলেন, তেলের ৯০ ভাগ আমাদের আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের প্রভাব পড়লে দেশেও দাম বেড়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি পণ্য আছে যেগুলো আমরা মনিটর করি। ঈদের আগে তেলের দাম নিয়ে অনেক কথা এসেছে। প্রতি মাসে একবার বসে ট্যারিফ কমিশন এই প্রাইজিংটা (দাম নির্ধারণ) করে। সবকিছু অ্যাভারেজ করে দামটা নির্ধারণ করা হয়। আমাদের একটা বিশেষ কারণ ছিল, ঈদের (রমজান) মাসটাতে আমরা দামটা বাড়াতে চাইনি। ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম, এই সময়টা ম্যানেজ করেন। তাই যেই সময়ে দামটা ফিক্স (নির্ধারণ) করা হয় সেখানে কিছুটা বিলম্ব হয়। যেহেতু তারা ভেবেছিলেন ঈদের পর দামটা বাড়বে, সেজন্য অনেকে তেল জমিয়ে রেখেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম একটু চড়া। তবুও দাম মানুষের নাগালের মধ্যেই আছে। পেঁয়াজের দাম যদি কৃষক ২৫ টাকা পান তাহলেও মোটামুটি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। পরে সেটির সঙ্গে ট্রান্সপোর্টসহ কিছু কস্টিং যুক্ত হয়। আমরা কিছু কিছু ভালো কাজ করতে পেরেছি। আমরা ৬০ বিলিয়ন রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি। ২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি। ১৫০টির বেশি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য পাঠাতে পারছি। অন্যদিকে ইথিউপিয়া এসব পণ্যের ৯০ শতাংশ বাইরে থেকে আমদানি করে। গার্মেন্টস সেক্টরে আরেও ১০ লাখ কর্মী যুক্ত হবে বলে আশা করছি।