প্রকাশ: রোববার, ১৫ মে, ২০২২, ৭:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আমরা যখন স্যাটেলাইটের যুগে পৌঁছেছি পৃথিবী তখন জেনেছে বাংলাদেশ এখন আর তলাহীন ঝুঁড়ির দেশ নয়। কেবলমাত্র ব্যবসাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ যে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে সম্প্রচার চালাতো তা দেশে নিয়ে আসা। সেটা আমরা শতভাগ সফলতার সঙ্গে করতে সক্ষম হয়েছি।
শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর বিভাগীয় আ লিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোস্তফা জব্বার আরও বলেন করোনার কারণে দুই বছর সব দেশের দরজা বন্ধ ছিল। আমি বিদেশের বাজারে যে যাব সেই সুযোগটা ছিল না। ২০২৫ সালের ইস্টিমেট ছিল উৎক্ষেপণের বাণিজ্যিক ব্যবহার, আন্তর্জাতিক বাজারজাতকরণ, পুরো প্রক্রিয়ার ভেতরে ছিল কিন্তু আমি তো থমকে দাড়িয়েছি। তবে করোনার সময়টা অতিক্রান্ত হয়েছে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি আমাদের আর কোনো রকমের ক্রাইসিস হবে না।
কলড্রপ সমস্যার ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, এ বছরের শেষ নাগাদ কলড্রপের সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে এবং ২০২৩ সালে পুরোপুরি সমাধান হবে। সেই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা পুরোপুরি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পরে আইএসপিএবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জব্বার বলেন, তিন বছর আগেও বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে বড় অংশ মোবাইল অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেই জায়গা এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা দখল করে নিয়েছে। কেননা মোবাইল ইন্টারনেট একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা, প্রচলিত যে সেবাগুলো আমাদের অপারেটররা দেয়া এগুলো মানুষের চাহিদা পূরণ করার মতো জায়গা নয়। এক সময় মানুষ কেবলমাত্র ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটই ব্যবহার করবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে গ্রাহকের আগের যে ব্যান্ডউইথ চাহিদা ছিল, এখন তাতে হয়না। এখন মানুষ বেশি বেশি স্পিড খুঁজে। এখন আমরা কথা বলি এমবিপিএস, ভবিষ্যতে আমরা বলব জিবিপিএস। আর তা ব্রডব্যান্ড থেকে মানুষ সহজেই পাবে এবং তার ঘরে ঘরে পাবে।