শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ মে) সন্ধ্যায় শপথ নিতে যাচ্ছেন দেশটির ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) দলের নেতা রনিল বিক্রমাসিংহ।
লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিক্রমাসিংহে। মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছিল দেশটিতে।
জানা গেছে, শপথ গ্রহণ করে তিনি কলম্বোর একটি মন্দিরে যাবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কার্যক্রম শুরু করবেন।
রনিল বিক্রমাসিংহে তার দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির একমাত্র আইনপ্রণেতা। ২০২০ সালের আগস্টের নির্বাচনে দলটি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলে রাজাপাকসে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসেন।
রনিল বিক্রমাসিংহে ১৯৯৩ সাল থেকে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তাকে মূলত পশ্চিমাপন্থী মুক্ত বাজার সংস্কারক হিসেবে দেখা হয়।
এর আগে চলতি সপ্তাহে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কথা জানান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। চলমান সহিংস আন্দোলনের মধ্যেই তার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যায় দেশটির মন্ত্রিসভা।
এক বিবৃতিতে গোতাবায়ে রাজাপাকসে জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও দেশের কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন সরকার গঠনে আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি। সংসদের হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার জন্য কিছু সাংবিধানিক সংস্কার করা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি।
গত ২০ বছরের মধ্যে ১২ বছরই শ্রীলঙ্কার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন রাজাপাকসে পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা স্বৈরতন্ত্রের তকমা পেয়েছেন। মাহিন্দা রাজাপাকসে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন। তাছাড়া তার অন্য দুই ভাই দেশটির বন্দর ও কৃষি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এভাবে পাকসে পরিবারের কয়েক ডজন সদস্য সরকারের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।