প্রকাশ: বুধবার, ১১ মে, ২০২২, ৬:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনাকালীন সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। অথচ কোড জটিলতায় দীর্ঘ চার মাস ধরে বেতনভাতা বন্ধ রয়েছে বরগুনার তালতলী সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের। বেতন বন্ধ থাকায় অনেক কর্মচারী চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানাগেছে, পশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর সাব সেন্টার নামে পরিচিত তালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালটি,তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করে সরকার।
এরপর এই হাসপাতালে বর্তমান ১৪জন ডাক্তার, ৯,জন নার্স,১৩জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন সিএইচ সিপি সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালের কোড জটিলতায় এ উপজেলার হাসপাতালের সাথে সংযুক্ত অর্ধশত ব্যক্তির বেতন বন্ধ রয়েছে। বেতন না পাওয়ার কারনে ঈদ কেটেছে অনেকটাই নিরানন্দে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। বেতন না পেয়ে অনেক কর্মচারী চরম মানবেতর জীবন যাপন করলেও লজ্জায় কারোকাছে কিছু বলতে পারছেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারীরা জানান, ডাক্তারেরা অফ টাইমে ক্লিনিকে রোগী দেখে ভিজিট পায়। কিন্তু আমরা তো ভিজিট পাইনা বেতন ছাড়া কিছু পাইনা তাহলে আমরা চলি কিভাবে?
তালতলী হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার জানান,নতুন একটা যায়গায় বদলি, কিন্তু কষ্টের কথা হল এখানে থাকার মত কোন পরিবেশ নেই। পরিবারের আত্নীয় স্বজনকে ঈদে কোন উপহার দিতে পারিনি কষ্ট তো লাগবেই। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আন্তরিক ভাবে আমাদের বিষয়টি দেখে কোড ওপেন করলে বেতন ভাতা চালু হত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.শাকিলা আক্তার বলেন, নতুন উপজেলায় কোড ওপেন থাকেনা। তাই চারমাস ধরে বেতন বন্ধ ছিল। আমি চেষ্টা করতেছি বেতন ভাতা চালুর জন্য। গত মাসেই দুইটা কোড ওপেন হয়েছে আমি ঢাকায় চেষ্টা করে আসছি আরও কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে আশা করছি এ মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে।