বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম
প্রকাশ: সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২, ৮:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় চলতি বছরে মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম। সম্প্রতি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স বিশ্বের ২১৬ টি দেশের ১৫ হাজার ৪৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় লক্ষাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সাইটেশন এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করে। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিংয়ে প্রফেসর রাফিজুলের গবেষণার বিষয়-সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ল্যান্ডফিল্ড লাইসিমিটার এবং জিয়ো এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি আমলে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংককিংটি প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষ দুই হাজার বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছে।
এ বিষয়ে প্রফেসর রাফিজুল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই পারেন শিক্ষাকে বাস্তবে রূপদানে ভূমিকা নিতে।একজন শিক্ষককে তার পেশার উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিনিয়ত নব নব জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিখন-শেখানো কার্যক্রম শতভাগ সফল করতে হলে জ্ঞান-গবেষণার সন্ধানে নিরলস প্রচেষ্টায় শিক্ষককে মত্ত থাকতে হবে। শিক্ষককে প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন সাধনে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং যথাসময়ে যথোপযুক্ত স্থানে প্রায়োগিক দিকের প্রতি নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক হিসাবে আমার এই অর্জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণায় অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসাবে কুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রফেসর রাফিজুল কুয়েটের সিভিল ইঙ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টম্বর মাসে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে তিনি একই বিভাগে প্রফেসর হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি কুয়েটের সিভিল ইঙ্জিনিয়ারিং বিভাগে জার্মান সরকারের অর্থায়নে একটি রিসার্চ প্রজেক্ট “ স্কিপ প্লাষ্টিক প্রজেক্ট” এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রায় ১৪০ টি গবেষনা আর্টিকেল দেশ বিদেশের বিভিন্ন কনফারেন্স ও জার্নালে পাবলিস্ট করেছেন। তিনি রিসার্চের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন কানাডা, ইতালী, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অবস্হান করেছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যেমন শিক্ষা সহায়ক স্বপ্নপূরণ, মানব কল্যাণে মানিকহার, সাতক্ষীরা এসোসিয়েশন কুয়েট, ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজ সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার মানিকহার গ্রামের এক সুনামগন্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি পিতা মাতার ছয় সন্তানের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।