#স্বাধীনতার স্বপ্ন রোপিত হয়েছিল ৭ মার্চ: কে এম লোকমান হোসেন। #শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল।
প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২, ১০:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

মার্চ মাস আমাদের জাতীয় জীবনের বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইতিহাস বিখ্যাত একটি মাস। বাংলার আন্দোলন সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধুর স্মৃতি বিজড়িত ১৯৭১-এর এই মার্চ মাসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। মার্চ মাসের শুরুতেই যেভাবে সব বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারা বাংলার মানুষ যেভাবে একত্রিত হয়েছিল তার জন্য এই মার্চ মাসের শুরু থেকেই এই আন্দোলন সংগ্রামের বীজ বপন হয়েছিল।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬৪০তম পর্বে শুক্রবার (১১ মার্চ) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, মার্চ মাস আমাদের জাতীয় জীবনের বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইতিহাস বিখ্যাত একটি মাস। মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের এই মাসে তীব্র আন্দোলনের পরিণতিতে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। আসলে মার্চ মাসের প্রতিটা দিনই এক একটি ইতিহাস। বাংলার আন্দোলন সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধুর স্মৃতি বিজড়িত ১৯৭১-এর এই মার্চ মাসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্স সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর প্রতারণার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলে। তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তা-ই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা কর। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারশেন সার্চলাইট’র নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। রক্তের বন্যা বইয়ে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীজুড়ে। এ অন্যায়ের প্রতিরোধেই শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। লাখো শহীদের রক্ত ও অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে ৯ মাস পর ধরা দেয় বিজয়ের নতুন সূর্য।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, মার্চ মাস আসলেই আমার মনে ভেসে উঠে একটি নাম একটি চেহারা সেটি হলো আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে পাকিস্তানের ২৩ বছরের জেল, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন, শোষণ ও নির্যাতনের ইতিহাস বর্ণনা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন :‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। তিনি বলেছিলেন :‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।’ এই মার্চ মাসের শুরুতেই যেভাবে সব বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারা বাংলার মানুষ যেভাবে একত্রিত হয়েছিল তার জন্য এই মার্চ মাসের শুরু থেকেই এই আন্দোলন সংগ্রামের বীজ বপন হয়েছিল। একাত্তরের মার্চ ছিল মুক্তিকামী কোটি জনতার আন্দোলনে উত্তাল। সেদিন ঢাকা ছিল স্লোগানের। ‘জাগো জাগো, বাঙালি জাগো’, স্বাধীনতার মাস মার্চ এবার এসেছে ভিন্ন বার্তা নিয়ে। একসময় পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে হতদরিদ্র বলে আখ্যায়িত করত। এখন এই দেশটিই উন্নয়নের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। আজকে শিক্ষা বলেন, চিকিৎসা বলেন, রাজনীতি বলেন সব জায়গায় মেধার স্বাক্ষরতা রাখছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাংলা জাতির মানুষরা।