বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের    বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা    একনেকে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন    ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত    বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তৃতীয় ঢাকা    কাতারের আমির ঢাকায় আসছেন এপ্রিলে    রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
দুদক কর্মকর্তা শরীফের চাকরিচ্যুতি, নেপথ্যে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের সিন্ডিকেট!
উৎপল দাস
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির বিষয়টি সারাদেশে তোলপাড় করেছে। শরীফের চাকরি হারনোর বিষয়ে কর্ণফুলী গ্যাস লিমিটেডের (কেজিডিসিএল)  সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর নাম উঠে আসলেও  মূল কারিগর হিসাবে কাজ করেছেন  সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমান। ভোরের পাতার অনুসন্ধানে জানা গেছে,  নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুরের ইশারাতেই শরীফ উদ্দিনকে ৭ দিনের মধ্যে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিলেন আইয়ুব খান।  

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৩ বছর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সে সময় এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি ভোটার করার অভিযোগে ২০২১ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একজন পরিচালক, ৬ কর্মীসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছিলেন। এ মামলার পরপর ১৬ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়।

শরীফ তার মেয়াদকালে বিভিন্ন খাতে অনিয়মের খবর প্রকাশের জন্য আলোচিত হন। সে সময় তিনি ইসি কর্মকর্তা, কর্মচারী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইয়াবা চোরাকারবারি, রোহিঙ্গা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১ ডজনেরও বেশি মামলা করেন। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী তিনি। কর্ণফুলীর দুর্নীতির মামলায় তিনি কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) সারোয়ার হোসেন এবং অন্যান্যদের সঙ্গে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করেন। তখন থেকেই সাবেক মন্ত্রীপুত্র শরীফ ‍উদ্দিনকে যেকোনো মূল্যে চাকরিচ্যুত করার মিশনে নামেন। এবার আইয়ুব খান চৌধুরীকে সাথে নিয়ে তিনি প্রভাব খাটিয়ে  এ কাজটি করেছেন। যা নিয়ে খোদ দুদক কর্মকর্তারাই সারাদেশে মানববন্ধন করেছে। 

উল্লেখ্য, দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি হাজী সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। সাইফুল ২০১৯ সালের ৩১ মে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সিএমসিএইচ) অনিয়মেরও তদন্ত করছেন তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন এখন আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য দুদকের সদর দপ্তরে আছে।

গত ৩০ জানুয়ারি প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর শরীফ উদ্দিন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।

জিডিতে শরীফ উদ্দিন অভিযোগ করেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও অপর এক ব্যক্তি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার বাড়িতে এসে তাকে হুমকি দেন। জিডির পর পুলিশ হুমকির ঘটনার তদন্ত করছে।

চট্টগ্রামে চাকরির সময় একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনার অনুসন্ধান করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। কর্ণফুলী গ্যাস লিমিটেডের (কেজিডিসিএল)  সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করেন তিনি। হাজির করেন একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শরীফের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কেজিডিসিএলের সাবেক এমডি আইয়ুব খান চৌধুরী রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানে  অবৈধভাবে তার দুই ছেলে আশেক উল্লাহ চৌধুরীকে ডেপুটি ম্যানেজার পদে ও মহিউদ্দিন চৌধুরীকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেন। সর্বশেষ ২০২১ সালে মধ্যরাতে কেজিডিসিএল’র সেই আলোচিত ৬০ জনের পদোন্নতির সময় তার দুই ছেলেরও পদোন্নতি হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইয়ুব খান চৌধুরী নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, অবৈধ গ্যাস সংযোগসহ নানা অনিয়মে জড়িত। এরমধ্যে  কর্ণফুলী গ্যাসে তার নিয়োগটাও ছিল অবৈধ। বয়স জালিয়াতি ও দেওয়ানি মামলায় শাস্তি পাওয়ার বিষয়টি গোপন রেখেই তিনি এই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। শরীফ উদ্দিনের অনুসন্ধানে এসেছে, আইয়ুব খান চৌধুরী পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে ভুয়া জন্ম তারিখ দিয়ে নিয়োগ পান। ১৯৯১ সালের ২রা সেপ্টেম্বর পত্রিকায় এই পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭ বছর। আর একাডেমিক সনদপত্র অনুসারে আইয়ুব খানের জন্ম ১৯৬২ সালের ৪ঠা আগস্ট। সেই অনুসারে এই পদে আবেদনের শেষ তারিখ ১৯৯১ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তার বয়স হয় ২৯ বছর ১ মাস ৭ দিন। যে কারণে তার নিয়োগ পাওয়াটাই ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইয়ুব খান ১৯৮৭ সালে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চট্টগ্রাম নগরের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরমধ্যে ১৯৯১ সালে চেক জালিয়াতির একটি মামলায় ব্যাংক থেকে তার চাকরি চলে যায় ও ৩ মাসের জেল হয়। জেল থেকে বের হয়ে কয়েক মাসের মাথায় তিনি কর্ণফুলী গ্যাসে যোগদান করেন। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এমডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি সেখানে তার দুই ছেলে আশেক উল্লা চৌধুরী ও মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সব ধরনের অনিয়মের আশ্র?য় নিয়ে নিয়োগ দেন। সেই সময় বোর্ডে সিদ্ধান্ত ছিল বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া, কিন্তু তা না করে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পেট্রোবাংলার মাধ্যমে পরীক্ষা নেন বিধি বহির্ভূতভাবে। উপ-ব্যবস্থাপক (কারিগরি) পদের জন্য ৫ বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক হলেও তাদের কাছে ছিল না কোনো অভিজ্ঞতার সনদ।

এদিকে শরীফের বদলির পর হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। শরীফের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর আবারও তদন্তের আদেশ দেয়া হয়। দুদকের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম ও উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেককে এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা গত ১৩ই জানুয়ারি পুনরায় ৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। এতে আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগেরই সত্যতা পাননি বলে দাবি করা হয়।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা ভোরের পাতাকে বলেন, 'আমরা দুদকের সরকারি বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানে দেখা গেছে শরীফ ও অভিযুক্ত আইয়ুব দুজনেই স্বাভাবিকভাবে কথা বলছেন।' ওসি আরও বলেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করব।'

বুধবার দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সই করা এক অফিস আদেশে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়। এতে বলা হয়, 'দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ - এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।' 

দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে জানতে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়  ভোরের পাতার পক্ষ থেকে। তবে তারা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। জানতে চাইলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন ভোরের পাতাকে বলেন, 'কমিশনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে শরীফ উদ্দীনকে অপসারণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭-৮টি অভিযোগ আছে।'

'শরীফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে জব্দ করা ৯৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখার অভিযোগ আছে। এ নিয়ে হাইকোর্টও তাকে তিরস্কার করেছেন,' বলেন তিনি।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমান মুজিবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে। গতবছর এপ্রিল মাসে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন চান্দগাঁও থানা এলাকার গোলাম আলী নাজির বাড়ীর এক ভুক্তভোগী পরিবার। পরিবারের পক্ষে মোছাম্মদ আকলিমা নামে এক নারী বলেন- ‘মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমান মুজিবের মিথ্যা মামলা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির কারণে আমরা আজ বাড়ী ছাড়া। মুজিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতঙ্কে পরিবারের মহিলা সদস্যরাও খুব ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’

আকলিমা বলেন, ‘মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমান মুজিবের মিথ্যা মামলা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির কারণে আমরা আজ বাড়ী ছাড়া। মুজিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতঙ্কে পরিবারের মহিলা সদস্যরাও খুব ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছরের মার্চে মুজিব সদলবলে আমার জায়গা দখল করতে আসে। এ ঘটনায় আমরা চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এরপর মুজিব আমার জমিটি নিয়ে একটি জাল দলিলও তৈরি করে। পরবর্তীতে আমরা এই দলিল বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করি।’

আকলিমা আরও বলেন, ‘মুজিবের মামলা ও ভয়ভীতিতে আমাদের পরিবার আজ পুরুষশূন্য। আমরা কয়েকজন নারী আজকে তার বিচারের দাবিতে এখানে এসেছি। আমরা তার বিচার প্রধানমন্ত্রীর নিকট চাই।’

এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বিএসসি পুত্র মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।



যোগাযোগ করা হলে শরীফ উদ্দীন ভোরের পাতাকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে। আমি কীভাবে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করলাম?'  'আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর তদন্ত চলছে। আমি জবাবও দিয়েছি। আশা করি তদন্ত প্রতিবেদন আমার পক্ষেই থাকবে,' যোগ করেন তিনি।

সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'জব্দ করা ৯৪ লাখ টাকা আমার কাছে রাখার বিষয়টি আমার পরিচালক জানতেন। চট্টগ্রাম থেকে  যাওয়ার সময় আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সেটি বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।'

এদিকে মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তার সহকর্মীরা।

কর্ণফুলী গ্যাস লিমিটেডের (কেজিডিসিএল)  সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]