দ্বাদশ নির্বাচনের প্রাক্কাল পর্যন্ত তারা লবিস্ট ষড়যন্ত্র করবে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিএনপি বা জামায়াত ইসলামের মতো দল যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছে সেখানে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা অবশ্যই ছিল, এতে কোন সন্দেহ নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য তারা এই লবিস্ট নিয়োগ করে প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছিল এবং বর্তমান এই লবিস্ট নিয়োগ সেই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করে আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে মূলত তারা সরকারের বিরোধিতা করছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মূলত বিএনপির খোলসে আজকে জামায়াতসহ রাষ্ট্রবিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৯৭তম পর্বে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন আলোচকরা।
ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. মশিউর মালেক, গৌরব ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক, জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমি প্রথমেই যে বিষয়টার উপর আলোকপাত করতে চাই সেটা হলো, লবিস্ট নিয়োগ কিংবা লবিস্ট হাজির করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি কালচার। সেখানে তাদের দেশে অভ্যন্তরে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা দেশের বাইরে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই কার্যক্রমে নিয়োজিত হতে পারে, আইনে কোন বাধা নেই তাদের দেশে। কিন্তু সমস্যা হলো অন্য জায়গায়। ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে ২০০ ডলারের বেশি যদি কেউ কাউকে বা কোন দলকে চাদা প্রদান করে তাহলে সেটা সবার সামনে আনতে হয়। এই সামনে আনাটাও কিন্তু মার্কিন নির্বাচনী কালচারের একটা বড় বিষয়। এই লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিএনপি বা জামায়াত ইসলামের মতো দল যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছে সেখানে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা অবশ্যই ছিল, এতে কোন সন্দেহ নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য তারা এই লবিস্ট নিয়োগ করে প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছিল এবং বর্তমান এই লবিস্ট নিয়োগ সেই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বিএনপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে সময়ে সময়ে লবিস্টের যে সুযোগটি আছে সেটা তারা গ্রহণ করেছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন সিনেটর বা কংগ্রেসমেনদের কাছে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবার জন্য তারা নানানভাবে চেষ্টা করেছে, করছে এবং সম্ভবত দ্বাদশ নির্বাচনের প্রাক্কাল পর্যন্ত তারা এই চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আমি মনে করছি।