#বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঢেউ সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা: ড. ওয়ালি-উর রহমান। #বাংলাদেশের সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক শেখ হাসিনা: নাসির উদ্দিন আহমেদ। #শেখ হাসিনা বাংলাদেশ গড়ার ম্যাজিক কারিগর: কে এম লোকমান হোসেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার ম্যাজিক কথাটি আজকে সারা বিশ্বব্যাপী যেভাবে আলোচিত হচ্ছে সেটা কিন্তু একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের নিকট অনেক গর্বের বিষয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা যেমন একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পেয়েছি ঠিক তেমনি তারই কন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা বাংলাদেশ গড়ার ম্যাজিক কারিগর হিসেবে পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটুকু সময় পেয়েছেন তার মধ্যেই তিনি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশ আজ কারও বলা তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নয় বরং বাংলাদেশ আজ উপচেপড়া ঝুড়ির দেশে পরিণত হয়েছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৮৬তম পর্বে রোববার (১৬ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. ওয়ালি-উর রহমান বলেন, কিছুদিন নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ ব্যানার্জী তার এক বক্তৃতায় বলছিলেন যে, কোন দেশের উন্নতি আসলে নির্ভর করে তার ঘরের উপর। এই কথার অর্থ হচ্ছে- বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, জাইকা বা যাই হোক না কেন এগুলো হচ্ছে আসলে সাপোর্টেড সিস্টেম মেকানিজেম। কিন্তু উন্নতি হতে হলে দেশের ভেতর থেকেই হতে হবে। দেশের ভেতরে বিদ্যমান উপাদানগুলো থাকতে হবে। এর মানে হচ্ছে দেশের মানুষকে উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং এই উন্নয়নকে সাদরে গ্রহণ করতে হবে। কোথা থেকে অর্থ আসলো বা না আসলো সেটা বিবেচনায় না নিয়ে এই উন্নয়নের সাথে নিজেকে মেলে দিতে হবে। যেমন, বিল গেটস মেলেন্ডা গেটস যে একটা ইকনোমিক ঢেউয়ের সৃষ্টি করেছে সেটা যদি উন্নয়নশীল দেশে আসে তাহলে উন্নয়নশীল দেশগুলোও এর সাথে সমাল তালে চলতে পারবে। এখানে আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে বিল গেটস কে? আমি এখানে কারও সাথে তুলনা করতে চাচ্ছি না। এই যে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলো সেটা কিন্তু এই বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই হয়েছে। কারণ ২১ বছর দেশটা মিলিটারি শাসনের মধ্যেই চলেছে। এরপরে আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটুকু সময় পেয়েছেন তার মধ্যেই তিনি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশ আজ কারও বলা তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নয় বরং বাংলাদেশ আজ উপচেপড়া ঝুড়ির দেশে পরিণত হয়েছেন। তখন যখন এই তকমা বাংলাদেশের গায়ে লাগানো হয়েছিল তখন এর বিপক্ষে আমি কঠিন কণ্ঠস্বরে তাদের প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন আমি বলেছিলাম অবশ্যই আমরা তোমাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করবো এবং আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে তাদেরকে আমরা ভুল প্রমাণিত করতে পেরেছি।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাঙালির আশা আকাক্সক্ষার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন সারথি, রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্বপরিমণ্ডলে অনগ্রসর দেশ, জাতি, জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ কন্যা স্বাধীন বাংলাদেশে পিতার মতোই সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। পিতা-মাতা স্বজন হারানোর সীমাহীন বেদনার মাঝেও তিনি অসীম সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে লড়াই করেছেন। তিনি বাংলার জনগণের মাঝেই খুঁজে নিয়েছেন স্বজনদের, দেশের মানুষের জন্য সঁপে দিয়েছেন জীবনের সবটুকু সময়, তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য অগ্রযাত্রায় সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, ভিশনারি নেতৃত্বে। মানবিক গুণসম্পন্ন এই মানুষটি জনতার নেত্রী, আমাদের নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি সংমিশ্রণ করে জিডিপি গ্রোথ, রফতানিসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন সমগ্র বিশ্ব আজ বিস্ময়ে দেখছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ, স্যানিটেশনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। যার স্বীকৃতি দিয়ে চলছে বিশ্ব সম্প্রদায়ও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনন-মেধা, সততা-নিষ্ঠা, প্রখর দক্ষতা এবং সৃজনশীল উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার ম্যাজিক কথাটি আজকে সারা বিশ্বব্যাপী যেভাবে আলোচিত হচ্ছে সেটা কিন্তু একজন বাঙালি হিসেবে অনেক গর্বের বিষয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা যেমন একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পেয়েছি ঠিক তেমনি তারই কন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা বাংলাদেশ গড়ার ম্যাজিক কারিগর হিসেবে পেয়েছি। এই যে ম্যাজিক শব্দটা বলার জন্য মনে একটা শক্তি দরকার। এই যে তার যে মনোবল যিনি কিনা সব কিছু হারিয়ে আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এটা আমরা ক’জনে পারতাম? বাংলাদেশকে একটা ধ্বংসস্তূপ থেকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু যে ভাবে সব সেক্টরে বাংলাদেশকে টেনে তুলে ধরছিলেন ঠিক সে সময় পাকিস্তানি রয়ে যাওয়া কিছু কুচক্রীরা ষড়যন্ত্র করে আমাদের জাতির পিতা সপরিবারে নৃসংশভাবে হত্যা করে। তাকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকেও হত্যা করা চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ্র অশেষ রহমতে সেই পরিবারের রয়ে যাওয়া দুই সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যাওয়ায় বাংলাদেশে ভবিষ্যৎও সেদিন বেঁচে গিয়েছিল এবং তাই আমরা আজ এর সুফল দেখতে পারছি। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ ও মেট্রোরেলের কাজ শেষসহ বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী লীগ সরকার। রাজধানীর পাশাপশি বদলে যাচ্ছে গ্রামের দৃশ্যপটও। আজ বাংলাদেশে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থানসহ এমন কোনো খাত নেই যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে না। শেখ হাসিনা দেশপ্রেম, মানবিকতাবোধ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার জন্য আজ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।