প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, -০০০১, ১২:০০ এএম আপডেট: ১৫.০১.২০২২ ৩:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (প্রতিরক্ষাপ্রধান) বিপিন রাওয়াতকে বহনকারী সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, উপত্যকায় অপ্রত্যাশিতভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তনে মেঘের মধ্যে হেলিকপ্টার ঢুকে যেতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাইলটের বিভ্রান্তিবোধ তথা স্প্যাটিয়াল ডিসওরিয়েন্টেশনর জন্যই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত ৮ ডিসেম্বর দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যে ভয়াবহ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় বিপিন রাওয়াত ছাড়াও তার স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, প্রতিরক্ষা সহকারী, নিরাপত্তা কমান্ডো ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাসহ ১৪ জনের প্রাণহানি হয়।
দুর্ঘটনার পরই ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি তামিলনাড়ুর কুনুরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বিপিনসহ হেলিকপ্টারটিতে মোট ১৪ জন আরোহী ছিলেন।
ভয়াবহ এ বিমান দুর্ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর গঠিত তদন্ত কমিটি ‘কোর্ট অফ এনকয়ারি’ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকার আচমকা খারাপ আবহাওয়া ও ঘন মেঘের মধ্যে হেলিকপ্টারটি ঢুকে পড়াতেই বিপত্তি ঘটে। এতে সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত হন পাইলট। ভুলবশত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। উড়ানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় কন্ট্রোল্ড ফ্লাইট ইনটু দ্য টেরেন।
রিপোর্টে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটির ডাটা রেকর্ডার, ভয়েস রেকর্ডার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন ও পাইলটের সাময়িক ভুলকেই দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার দিন সুলুরের সেনা ছাউনি থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীল এমআই সিরিজের বিমানটি ওয়েলিংটনের সেনাঘাঁটি পরিদর্শনে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। নীলগিরি পর্বতের নানজাপ্পান চাথীরামের কাত্তেরি পার্কের জঙ্গলে ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বিমানে। এতে বিমানের সব যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।