এ পর্যন্ত যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- মাদ্রাসার ছাত্র তামিম, মোয়াজ্জেম আব্দুল্লাহ, মোতালেব মিয়া, আওলাদ হোসেন, গৃহবধূ জেসমিন বেগম, তার বড় মেয়ে তাসনিম, কলেজছাত্র সাব্বির ও পোশাক কারখানার নারী শ্রমিক জোসনা বেগম।
এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দেড় বছরের ছোট্ট শিশু তাসফিয়া।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, যেখানে ট্রলার ডুবেছে সেখান থেকে কিছুটা দূরে ভাসমান অবস্থায় সোমবার সকালে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। বাকী নিখোঁজ ও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে, জানান তিনি।
এ ঘটনার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর উপজেলা ইউএনও রিফাত ফেরদৌস জানান, উদ্ধার হওয়া তামিম ও আব্দুল্লাহর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেককে সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, জানান ইউএনও।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বক্তাবলী ঘাট থেকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঘাটমুখী ট্রলারটিকে বরিশাল থেকে ঢাকামুখী এমভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চ ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ৩০-৪০ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও প্রায় ১০ জন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভোরের পাতা/কে