শেখ হাসিনাকে নিয়ে এখন সারা বিশ্ববাসী গর্ব করে: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
প্রকাশ: বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ১১:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ একটি দেশ যা অতি অল্প সময়ে তাঁর নেতৃত্বে থাকাকালীন উন্নয়নের একটা রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে এবং সেখানে আমরা দেখছি বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বিদেশি সাহায্য নির্ভর নয়। এই যে দেশকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে বিনির্মিত কৌশলটি পৃথিবীকে অবাক করেছে এবং অবাক করেছে বলেই জাতিসংঘের মহাসচিব একটি মন্তব্য করেছেন যে একটি মিরাকিউলাস উন্নয়ন হয়েছে দেশে। আসলে প্রতি মাসেই তিনি এতো অজস্র সাফল্যগাথা অর্জন করেছেন যে এটা এতো অল্প সময়ে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তিনি এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের কাতারে চলে গেছেন। তাকে নিয়ে শুধু আমরা না সারা বিশ্ববাসী গর্ব করতে পারে এই জন্য যে, গত কিছুদিন আগে যে পানামা পেপারস অনুসন্ধান রিপোর্ট বের হয়েছে সেখানে তাকে নিয়ে কোন ধরনের অভিযোগ দেখাতে পারেননি। পৃথিবীর ৩ জন শীর্ষস্থানীয় সৎ সরকার প্রধানের তালিকায় তার নাম উঠে এসেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৯১তম পর্বে বুধবার (১৩ অক্টোবর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের যে অর্জন সেগুলো বাদই দিলাম, তার গত ১৩ বছরের যে অর্জন সেগুলোও বাদ দিলাম, তার গত মাস থেকে এই মাস পর্যন্ত যে সকল অর্জন তিনি অর্জিত করেছেন সেগুলোও আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে তালিকাবদ্ধ করতে পারবো না। জাতিসংঘে এসডিজি অর্জনে তিনি একটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, আমাদের এখানে প্রথম নিউক্লিয়ার রিয়েক্টার স্থাপন হয়েছে, আমরা দেখছি বাংলাদেশ পারমাণবিক যুগে পদার্পণ করতে যাচ্ছে এবং একই সাথে রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের এখানে দ্বিতীয় একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা দেখছি পদ্মার নিচে দিয়ে একটি টানেল তৈরি করার জন্য একটা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আসলে প্রতি মাসেই তিনি এতো অজস্র সাফল্যগাথা অর্জন করেছেন যে এটা এতো অল্প সময়ে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তিনি এখন দেশের সীমানা ছারিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের কাতারে চলে গেছেন। তাকে নিয়ে শুধু আমরা না সারা বিশ্ববাসী গর্ব করতে পারে এই জন্য যে, গত কিছু দিন আগে যে পানামা পেপারস অনুসন্ধান রিপোর্ট বের হয়েছে সেখানে তাকে নিয়ে কোন ধরনের অভিযোগ দেখাতে পারেননি। পৃথিবীর ৩ জন শীর্ষস্থানীয় সৎ সরকার প্রধানের তালিকায় তার নাম উঠে এসেছে। আমরা এখন এমন প্রত্যাশা করছি যে তিনি যদি আগামী নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন সেক্ষেত্রে তিনি পৃথিবীর সব থেকে দীর্ঘমেয়াদী নারী প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন।