প্রকাশ: রোববার, ৩ অক্টোবর, ২০২১, ২:৩৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা মোকাবিলায় এখনই নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন, মার্কিন সিনেটর র্যান্ড পল।
সম্প্রতি এক টিভি শো’তে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, নতুন ভ্যাকসিন দরকার যা ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মতো করোনার নতুন রূপের বিরুদ্ধে কাজ করবে। কারণ যখন এক বছর আগে প্রথম ভ্যাকসিন বা বুস্টার তৈরি করা হয়েছিল তখন করোনার এতো রূপ আবিষ্কৃত হয়নি। ফলে বর্তমানে প্রচলিত বেশীরভাগ ভ্যাকসিন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এমন অবস্থায় আমি মন থেকে বিশ্বাস করি, নতুন ভ্যাকসিন বিশ্বকে এই করোনা সংকট থেকে উদ্ধার করবে।
এ বিষয়ে গ্লোব বায়োটেকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (কোয়ালিট অ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টসহ ১১টি ভেরিয়েন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয়। এই ১১টি ভেরিয়েন্টের সিকোয়েন্স অ্যানালাইজ করে দেখা গেছে ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে এ টিকা যদি বাজারে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সারা বিশ্বে ডেল্টা ধরনসহ করোনার যে মহামারি চলছে তা থেকে একমাত্র বঙ্গভ্যাক্সই পরিত্রাণ দিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের টিকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ১টি ডোজেই এনিম্যাল ট্রায়ালে কার্যকর এন্টিবডি পাওয়া গেছে। আমরা আশা করছি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি +৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ মাস এবং -২০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। এটি সিন্থেটিক্যালি তৈরি হওয়ায় তা ভাইরাস মুক্ত এবং শতভাগ হালাল। আমরা যদি দ্রুততম সময়ে টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশবাসীর সেবায় উৎসর্গ করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বদরবারে আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
২০২০ সালের ২ জুলাই ওষুধ প্রস্তুতকারী গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছরের ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেক কর্তৃক আবিষ্কৃত এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ টিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এরই মধ্যে সেই টিকা খরগোশ ও ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে। বানরের ওপর পরীক্ষাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম।