দেশব্যাপি ট্রাক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতিতে কিছুটা প্রভাব পরেছে মোংলা সমুদ্র বন্দরে। পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হলে বন্দরেরর অভ্যান্তরে ও শিল্পাঞ্চলে ট্রাক পরিবহন আসা-যাওয়া দেখা গেছে আগের তুলনায় কম।
প্রতিদিন যেখানে ৪/৫শ পন্য পরিবহনের জন্য ট্রাক বন্দর এলাকায় প্রবেশ করতো, সেখানে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ট্রাক আসছে মাত্র ৩/৪০টি।
সকাল থেকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের মোংলা শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন সড়কে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইমুভার, মিনিট্রাক ও পিকআপ আটকে দেন আন্দোলনকারীরা।
এতে সড়কের দুপাশে এবং ট্রাক ষ্টান্ডে বিপুল সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে।
যারা ট্রাক নিয়ে বন্দরের শিল্পাঞ্চলে প্রবেশ করছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে, তাদের পুর্বের পণ্য নেয়ার জন্য নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া ছিল বলেও জানায় অনেক ট্রাক শ্রমিকরা।
বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছে, মোংলা বন্দরের জেটি এলাকায় পন্যবাহী কোন বিদেশী জাহাজ এই মুহুর্তে নেই, তবে এ কর্ম বিরতীর মধ্যে যদি পন্য বোঝাই করে কোন জাহাজ জেটিতে নঙ্গর করে তা হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হবে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠানের ব্যাবসায়ীরা।
তবে সকাল থেকে বন্দরের জেটি অভ্যান্তরে তেমন কোন ট্রাক পন্য নিয়ে আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়নি বলে জানায় বন্দর সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার ট্রাক বন্ধোবস্ত ও সরবরাহকারী বহুমুখী সমবায় লিঃ সমিতির সভাপতি রানা মাতুবাবর বলেন, তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স, সড়কে ট্রাফিকের চাঁদাবাজি বন্ধ, পণ্য পরিবহন খাতে সরকার নিবন্ধিত শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কল্যাণ তহবিলের চাঁদা সংগ্রহের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ বন্ধ সহ ১৫ দফা।
আর এ ১৫ দফা দাবীতে মঙ্গলবার থেকে কর্ম বিরতি শুরু করে শ্রমিকরা। তাদের ন্যায্য ১৫ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান ট্রাক শ্রমিকরা।