সোমবার (৩০ আগস্ট) আল-হাইআতুল উলয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত ও অবারিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আল-হাইআতুল উলয়ার নেতারা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি নতুন মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত করবে। এতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবটি মুসলিমসহ সব ধর্মানুসারীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, যা রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।
আল-হাইআতুল উলয়ার নেতারা মনে করেন, প্রস্তাবটি কুরআন, হাদিস, দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আইন, ২০১৮’ (২০১৮ সনের ৪৮ নং আইন) এর পরিপন্থী।
তারা বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরিব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কুরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, জিকির ও দোয়া সব বন্ধ। সভায় সরকারের কাছে কওমি মাদ্রাসা অতি দ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় গ্রেপ্তারকৃত আলেম-উলামা ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের অবিলম্বে মুক্তিদানেরও জোর দাবি জানানো হয়। সাথে সাথে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
ভোরের পাতা/কে