প্রকাশ: রোববার, ২২ আগস্ট, ২০২১, ৭:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রংপুরের পীরগঞ্জে খাঁচায় পাখি পালন করে স্বাবলম্বী পরিতোষ। ছোট বেলা থেকেই পাখি নিয়ে জীবন গড়ার চিন্তা চেতনা,পাখি নিয়েই অনেক স্বপ্ন তার।পরিতোষ যখন ছোট ছিলেন বাবা মাকে বলতেন আমি পড়াশোনা করে পাখির বাড়ি বানাব। বর্তমান তার চিন্তা ও সাধনার ফল একেবারে বেকারত্বের মোড় ঘুঁড়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও পাখি দিয়ে নীড় ভরে গেছে। খাঁচায় পাখির খামার তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী পরিতোষ মহন্ত। পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা গ্রামের মৃত হরিপদ মহন্তের একমাত্র পুত্র পরিতোষ মহন্ত। রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এমবিএ পাস করে চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজস্ব স্থানে চতরা বন্দরে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর এবং খাঁচায় পোষা পাখির এক অভয় নীড় “দাদা বার্ডস্ কর্ণার”।
২০১৭ সালের শুরুতেই সুচনা করে অক্লান্ত পরিশ্রমে মাধ্যমে তিলে তিলে গড়ে উঠে কিচিরমিচির পয়েন্ট। তার এই কর্ম জীবনে শুরু থেকেই অনেক লোকসান গুনতে গুনতে বর্তমানে সুখের তরীতে পা রেখেছেন। প্রতিদিন এলাকার ছোট ছোট শিশুরা পাখি দেখার জন্য চলে আসে তার পাখির নীড়ে। ২০২১ সালে উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে শ্রেষ্ট হয়ে সনদপত্র ও শুভেচ্ছা স্মারক লাভ করেন।
পাখি দেখতে আসা জুয়েল মিয়া বলেন, আমরা প্রায়ই বাচ্চাদের নিয়ে পাখি দেখতে আসি এখানে। অনেক ভালো লাগে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি একটু সুনজর দেয় তাহলে সে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
পরিতোষ মহন্ত বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে হাটি হাটি পা পা করে এক গোন্ডা বাজারি পাখি দিয়ে শুরু করেছি এখন কবুতর ও পাখিসহ প্রায় দুই শতাধিক রয়েছে। তিনি আরও বলেন করোনা কালীন সময়ে আমি হিমশিমে ছিলাম না। নিজে না খেয়ে পাখিদের ভূরিভোজ করিয়েছি। পীরগঞ্জের একমাত্র পাখি ওয়ালা হিসাবে প্রণোদনা থেকে বিরত হয়েছি।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ড. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় পাখির এবং পরিতোষের খোঁজ খবর রাখছি।