প্রকাশ: রোববার, ৮ আগস্ট, ২০২১, ৭:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশের নান ইস্যুতে ফেসবুক লাইভ করে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আর সেই জনপ্রিয়তার কল্যাণে ব্যারিস্টার সুমন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম যুব সংগঠন যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ পান। আবার সেই ফেসবুক লাইভের কারনেই ৮ মাস ২৪ দিন পর যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি পান ব্যারিস্টার সুমন।
ব্যারিস্টার সুমনের অব্যাহতির বিষয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ নিয়ে কটাক্ষ করায় ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টিকে অনেকেই বলছেন লাইভে ‘উত্থান’, লাইভেই ‘পতন’।
ব্যারিস্টার সুমন শুক্রবার (৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক স্লোগান দেয়া শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং ওসি আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় লাইভে তিনি বলেন, শেখ কামাল সাহেবের জন্মদিনে শরীয়তপুরের পালং থানার ওসি আক্তার হোসেনের আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই জিনিসটা দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে দু-একটা কথা বলা দরকার। আওয়ামী লীগের স্লোগান দেয়ার মানুষ কী এতই কম যে একজন ওসি সাহেবের এই স্লোগান দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার কথা হচ্ছে, আপনি যখন সরকারি দায়িত্বে থাকবেন কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আবেগ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে পানিশমেন্ট নিয়ে আসা উচিত। কিন্তু তিনি এখনো ওই জায়গাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন। আবেগ দেখানো ভালো। কিন্তু আপনি যখন আবেগ দেখাতে গিয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিলেন, তখন সরকারের কিন্তু অনেক ক্ষতি করে দিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সুমনের বিরুদ্ধে সরব হন। তারা বলতে থাকেন, ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান। দেশের যেকোনো নাগরিক এই স্লোগান দিতে পারেন।
অনেকেই এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ব্যাকগ্রাউন্ড না দেখে দলীয় নেতা বানালে যা হয়, সুমনের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। যুবলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনের আইন সম্পাদক হলেও দলের পক্ষে কোনদিন তাকে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। বরং বার বার আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন সরকার বিরোধী ফেসবুক লাইভে এসে।